২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সদ্যোজাতের নামকরণ হল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’- নামে,  ওড়িশায় ত্রাণশিবিরে জন্ম ১৬০০ নবজাতকের   

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার
  • / 2

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রকৃতির তান্ডবলীলার মধ্যে জন্ম স্রষ্টার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টির।

 

একদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডবে  ভীত-সন্ত্রস্ত ওড়িশাবাসী। অন্যদিকে  ভয়ংকর সেই বিপর্যয়ের মাঝেই ত্রাণশিবিরে ভূমিষ্ঠ হল ১৬০০ নবজাতক। সোশ্যাল সাইটে এই সুখবর প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরম মাঝি। দানার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েগিয়েছিল প্রস্তুতি। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৬ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর করা হয়। যাঁদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জন গর্ভবতী ছিলেন। যার মধ্যে ১৬০০ জন সন্তান প্রসব করেন।

 

আরও পড়ুন: ‘সিএএ সমর্থন থেকে পড়ুয়াদের কটূক্তি’… জেনে নিন জামিয়ার আরএসএস ঘনিষ্ঠ মাজহার আসিফকে

ঘূর্ণিঝড় ডানা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরম মাঝি জানান, দানার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানী ঘটনা রুখতে কোমর বেঁধে মাঠে নামে প্রশাসন।

 

সর্বসাকুল্যে ৬০০৮ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়।  শুধুমাত্র বালাশোর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয় প্রায় ১ লক্ষ  ৭৩ হানার মানুষকে। ময়ুরভঞ্জ জেলায় এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় একলক্ষ। সেখানে জল, ওষুধ, খাবার-সহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ব্যবস্থা করা হয়।

 

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদিকে সিংহের ন্যায় গর্জন করছিল দানা অন্যদিকে প্রসব বেদনা ওঠে এক প্রসূতির।

 

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেই মহিলাকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন মহিলা। সন্তান ও মা উভয়েই সুস্থ রয়েছে। জানা গেছে, ওই দম্পতি নবজাতকের নাম রাখেন ‘ডানা’।

 

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সদ্যোজাতের নামকরণ হল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’- নামে,  ওড়িশায় ত্রাণশিবিরে জন্ম ১৬০০ নবজাতকের   

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রকৃতির তান্ডবলীলার মধ্যে জন্ম স্রষ্টার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টির।

 

একদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডবে  ভীত-সন্ত্রস্ত ওড়িশাবাসী। অন্যদিকে  ভয়ংকর সেই বিপর্যয়ের মাঝেই ত্রাণশিবিরে ভূমিষ্ঠ হল ১৬০০ নবজাতক। সোশ্যাল সাইটে এই সুখবর প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরম মাঝি। দানার খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েগিয়েছিল প্রস্তুতি। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৬ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর করা হয়। যাঁদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ জন গর্ভবতী ছিলেন। যার মধ্যে ১৬০০ জন সন্তান প্রসব করেন।

 

আরও পড়ুন: ‘সিএএ সমর্থন থেকে পড়ুয়াদের কটূক্তি’… জেনে নিন জামিয়ার আরএসএস ঘনিষ্ঠ মাজহার আসিফকে

ঘূর্ণিঝড় ডানা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরম মাঝি জানান, দানার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানী ঘটনা রুখতে কোমর বেঁধে মাঠে নামে প্রশাসন।

 

সর্বসাকুল্যে ৬০০৮ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়।  শুধুমাত্র বালাশোর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয় প্রায় ১ লক্ষ  ৭৩ হানার মানুষকে। ময়ুরভঞ্জ জেলায় এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় একলক্ষ। সেখানে জল, ওষুধ, খাবার-সহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসের ব্যবস্থা করা হয়।

 

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদিকে সিংহের ন্যায় গর্জন করছিল দানা অন্যদিকে প্রসব বেদনা ওঠে এক প্রসূতির।

 

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেই মহিলাকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন মহিলা। সন্তান ও মা উভয়েই সুস্থ রয়েছে। জানা গেছে, ওই দম্পতি নবজাতকের নাম রাখেন ‘ডানা’।