২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার গণভবনে তৈরি হচ্ছে ‘গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার
  • / 2

ঢাকা, ২ নভেম্বরঃ বাংলাদেশের যে গণভবনে বসে ১৬ বছর স্বেচ্ছাচারী শাসন চালিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, সেই ভবনকে মিউজিয়ামে পরিণত করছে ইউনূস সরকার। নাম- জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর। এর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার গণভবনের গেটে এক ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মুহাম্মদ নাহিদ ইসলাম এই কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও ফিল্ম মেকার ড. এবাদুর রহমান। কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুহাম্মদ মাহফুজ  আলম।

কমিটি ঘোষণার পর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে সেগুলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি এই জাদুঘরে ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও সংরক্ষণ করা হবে। জাদুঘরে আয়না ঘরের একটি রেপ্লিকা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবেও এই জাদুঘরকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে জনগণ এই জাদুঘরকে ধারণ করবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুহাম্মদ মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল। আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শেখ হাসিনার গণভবনে তৈরি হচ্ছে ‘গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’

আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

ঢাকা, ২ নভেম্বরঃ বাংলাদেশের যে গণভবনে বসে ১৬ বছর স্বেচ্ছাচারী শাসন চালিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, সেই ভবনকে মিউজিয়ামে পরিণত করছে ইউনূস সরকার। নাম- জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর। এর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার গণভবনের গেটে এক ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মুহাম্মদ নাহিদ ইসলাম এই কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও ফিল্ম মেকার ড. এবাদুর রহমান। কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুহাম্মদ মাহফুজ  আলম।

কমিটি ঘোষণার পর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে সেগুলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি এই জাদুঘরে ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও সংরক্ষণ করা হবে। জাদুঘরে আয়না ঘরের একটি রেপ্লিকা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবেও এই জাদুঘরকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে জনগণ এই জাদুঘরকে ধারণ করবে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মুহাম্মদ মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল। আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।