২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৭০ ফেরানোর দাবি শুনে নীরব মোদি -শাহরা, মন্তব্য কাশ্মীরের নেতা তারিগামির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, শনিবার
  • / 32

আরও পড়ুন: ব্রিকসের মঞ্চে পহলেগাঁও নিয়ে সরব মোদি, ‘সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য ক্ষতিকর’

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টÉমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ অন্যান্যরা। সেই বৈঠকে কাশ্মীরি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা তথা কুলগামের প্রাক্তন বিধায়ক ইউসুফ তারিগামি।

আরও পড়ুন: ১৮ জুলাই ফের বঙ্গ সফরে আসছেন মোদি, কোথায় জনসভা করবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে এই বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। জানান তাঁরা যখন বৈঠকে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন, তখন একেবারে নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টÉমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি,অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শোনেন মোদি-শাহ। কিন্তু– ইস্যুটি নিয়ে তাঁরা একটি কথাও বলেননি। অর্থাৎ, তারিগামির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট– জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ফেরানো নিয়ে এখনই কোনও ভাবনা চিন্তা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তারিগামি বলেন, তিন ঘণ্টা এই বৈঠক চললেও বৈঠকে কোনও সময়সীমা চূড়ান্ত করা ছিল না। কাশ্মীরের নেতাদের বক্তব্য পেশের জন্য কোনও সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। কাশ্মীরের প্রত্যেক নেতা নিজেদের ইচ্ছেমতো সময় নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যেক নেতার বক্তব্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারিগামির কথায়, বৈঠকে যখন ৩৭০ ধারা ফেরানোর ইস্যুটি ওঠে তখন আগাগোড়াই নীরব থাকেন মোদি-শাহরা। যদিও তাঁরা এই নিয়ে কাশ্মীরি নেতাদের পুরো বক্তব্য ধৈর্য্য ধরে শোনেন।’

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

তারিগামি আরও বলেন, সিপিএমের তরফে আমি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি এই ধরনের আলোচনার আয়োজনকে স্বাগত। কিন্তু খুব ভালো হত যদি ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগে এই ধরনের বৈঠক ডাকা হত  যখন ৩৭০ রদ করা হয়েছিল ও জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি, জম্মু-কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দল তখন সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিল এই ধরনের পদক্ষেপ না করার জন্য। কিন্তু সেসব কথায় তখন গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। আর এখন সরকার এই নিয়ে আলোচনা চাইছে। বৈঠকে আমি দ্বিতীয় যে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম তা হল, সংবিধান যে অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছিল তার থেকে এতটুকু কম উপত্যকার মানুষ মেনে নেবে না। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে যে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল আমাদের উচিত তাকে অনুসরণ করা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্টÉমন্ত্রী আমাদের কথা মন দিয়ে শোনেন।

কিন্তু এই নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি। কবে ৩৭০ ফেরানো হবে তার কোনও সময়সীমাও উল্লেখ করেননি। যদিও আমাদের প্রত্যেককে কথা বলার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল।’

পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এদিন বলেন, যতদিন পর্যন্ত না কাশ্মীরে ৩৭০ ফেরানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাঁর দল ভোটে লড়বে না। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মানি না। তবে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে লড়ব। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, আমরা ২০১৯ সালরে ৫ আগস্টের ঘোষণাকে মানি না।

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৩৭০ ফেরানোর দাবি শুনে নীরব মোদি -শাহরা, মন্তব্য কাশ্মীরের নেতা তারিগামির

আপডেট : ২৬ জুন ২০২১, শনিবার

আরও পড়ুন: ব্রিকসের মঞ্চে পহলেগাঁও নিয়ে সরব মোদি, ‘সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য ক্ষতিকর’

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টÉমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ অন্যান্যরা। সেই বৈঠকে কাশ্মীরি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা তথা কুলগামের প্রাক্তন বিধায়ক ইউসুফ তারিগামি।

আরও পড়ুন: ১৮ জুলাই ফের বঙ্গ সফরে আসছেন মোদি, কোথায় জনসভা করবেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে এই বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। জানান তাঁরা যখন বৈঠকে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন, তখন একেবারে নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টÉমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি,অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শোনেন মোদি-শাহ। কিন্তু– ইস্যুটি নিয়ে তাঁরা একটি কথাও বলেননি। অর্থাৎ, তারিগামির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট– জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ফেরানো নিয়ে এখনই কোনও ভাবনা চিন্তা করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তারিগামি বলেন, তিন ঘণ্টা এই বৈঠক চললেও বৈঠকে কোনও সময়সীমা চূড়ান্ত করা ছিল না। কাশ্মীরের নেতাদের বক্তব্য পেশের জন্য কোনও সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। কাশ্মীরের প্রত্যেক নেতা নিজেদের ইচ্ছেমতো সময় নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যেক নেতার বক্তব্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারিগামির কথায়, বৈঠকে যখন ৩৭০ ধারা ফেরানোর ইস্যুটি ওঠে তখন আগাগোড়াই নীরব থাকেন মোদি-শাহরা। যদিও তাঁরা এই নিয়ে কাশ্মীরি নেতাদের পুরো বক্তব্য ধৈর্য্য ধরে শোনেন।’

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

তারিগামি আরও বলেন, সিপিএমের তরফে আমি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি এই ধরনের আলোচনার আয়োজনকে স্বাগত। কিন্তু খুব ভালো হত যদি ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগে এই ধরনের বৈঠক ডাকা হত  যখন ৩৭০ রদ করা হয়েছিল ও জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলি, জম্মু-কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দল তখন সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিল এই ধরনের পদক্ষেপ না করার জন্য। কিন্তু সেসব কথায় তখন গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। আর এখন সরকার এই নিয়ে আলোচনা চাইছে। বৈঠকে আমি দ্বিতীয় যে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলাম তা হল, সংবিধান যে অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছিল তার থেকে এতটুকু কম উপত্যকার মানুষ মেনে নেবে না। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে যে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল আমাদের উচিত তাকে অনুসরণ করা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্টÉমন্ত্রী আমাদের কথা মন দিয়ে শোনেন।

কিন্তু এই নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি। কবে ৩৭০ ফেরানো হবে তার কোনও সময়সীমাও উল্লেখ করেননি। যদিও আমাদের প্রত্যেককে কথা বলার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল।’

পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এদিন বলেন, যতদিন পর্যন্ত না কাশ্মীরে ৩৭০ ফেরানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাঁর দল ভোটে লড়বে না। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মানি না। তবে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে লড়ব। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি, আমরা ২০১৯ সালরে ৫ আগস্টের ঘোষণাকে মানি না।