২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের আদালতে ঝুলে রয়েছে ৫ কোটি মামলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 147

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: তারিখ পে তারিখ। এই হল দেশের বিচারব্যবস্থা। বিচারপতির সংখ্যা যেমন একটি বড় ফ্যাক্টর তেমনই তাদের গড়িমসি ও বিচারব্যবস্থার সর্ষের মধ্যে থাকা ভূতও এজন্য দায়ী। বহু মানুষ বছরের পর বছর জেল খাটছেন।

 

২০ বছর জেল খাটার পর সে পাচ্ছে বেকসুর খালাস। এমনই করুণ অবস্থা। দেশের বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলার সংখ্যা গত বছর ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট ২০২৫’ এই হিসাব দিয়েছে।

 

রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন আদালতে মুলতুবি মামলার সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। গত চার বছরে এই হার বৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। রিপোর্টের মতে, যা গভীর উদ্বেগের। দেশের বিচারব্যবস্থা এই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ।

 

রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ, ই-ফাইলিং ও ডিজিটাইজেশনের মতো প্রযুক্তির সাহায্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হলেও সমস্যা দূর হচ্ছে না কাঠামোগত সমস্যার সমাধান না হওয়ায়। কাঠামোগত সংস্কারের অভাবের দরুন প্রযুক্তির ব্যবহারও মামলার জোয়ার ঠেকাতে পারছে না।

 

ফলে জনমনে হতাশা বাড়ছে। নড়ে যাচ্ছে বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের ভরসা। কারাগারগুলোয় উপচে পড়ছে ভিড়। এ কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের সংকট।

 

২০২২ সালে রেকর্ডসংখ্যক বিচারক নিয়োগ সত্ত্বেও দেশের নিম্ন আদালতগুলোয় গড়ে ২১ শতাংশ ও উচ্চ আদালতে গড়ে ৩৩ শতাংশ পদ এখনো খালি। উচ্চ আদালতে প্রতি তিনজনে একটি ও নিম্ন আদালতে প্রতি পাঁচজনে একটি পদ শূন্য। ফলে বিচারপতিদের ওপর সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় চাপ। বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে ১৮ মাসে বছর হচ্ছে!

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দেশের আদালতে ঝুলে রয়েছে ৫ কোটি মামলা

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: তারিখ পে তারিখ। এই হল দেশের বিচারব্যবস্থা। বিচারপতির সংখ্যা যেমন একটি বড় ফ্যাক্টর তেমনই তাদের গড়িমসি ও বিচারব্যবস্থার সর্ষের মধ্যে থাকা ভূতও এজন্য দায়ী। বহু মানুষ বছরের পর বছর জেল খাটছেন।

 

২০ বছর জেল খাটার পর সে পাচ্ছে বেকসুর খালাস। এমনই করুণ অবস্থা। দেশের বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলার সংখ্যা গত বছর ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট ২০২৫’ এই হিসাব দিয়েছে।

 

রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত উচ্চ ও নিম্ন আদালতে মুলতুবি মামলার সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। গত চার বছরে এই হার বৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। রিপোর্টের মতে, যা গভীর উদ্বেগের। দেশের বিচারব্যবস্থা এই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ।

 

রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ, ই-ফাইলিং ও ডিজিটাইজেশনের মতো প্রযুক্তির সাহায্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হলেও সমস্যা দূর হচ্ছে না কাঠামোগত সমস্যার সমাধান না হওয়ায়। কাঠামোগত সংস্কারের অভাবের দরুন প্রযুক্তির ব্যবহারও মামলার জোয়ার ঠেকাতে পারছে না।

 

ফলে জনমনে হতাশা বাড়ছে। নড়ে যাচ্ছে বিচারব্যবস্থার উপর মানুষের ভরসা। কারাগারগুলোয় উপচে পড়ছে ভিড়। এ কারণে সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের সংকট।

 

২০২২ সালে রেকর্ডসংখ্যক বিচারক নিয়োগ সত্ত্বেও দেশের নিম্ন আদালতগুলোয় গড়ে ২১ শতাংশ ও উচ্চ আদালতে গড়ে ৩৩ শতাংশ পদ এখনো খালি। উচ্চ আদালতে প্রতি তিনজনে একটি ও নিম্ন আদালতে প্রতি পাঁচজনে একটি পদ শূন্য। ফলে বিচারপতিদের ওপর সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় চাপ। বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে ১৮ মাসে বছর হচ্ছে!