২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাকুম্ভ মেলায় মুসলিম দোকানে নিষেধাজ্ঞা এবিভিপির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 4

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  মহাকুম্ভ মেলায় মুসলিম দোকানে নিষেধাজ্ঞা। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই খবর।

 

এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি জানানো হয়, যে সকল দোকানদারদের প্রধান হিন্দু, শিখ, জৈন বা বৌদ্ধ নয় তাদের মহাকুম্ভে দোকান দেওয়ার জন্য জমি বা কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। হিন্দু, শিখ, জৈন বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাই মহাকুম্ভ মেলায় দোকানে দিতে পারবেন। এদিন আরও জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে না, তবে বিগত কয়েক দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুনঃ ওয়াকফ: ১২ নভেম্বর কলকাতায় আসছে জেপিসি

 

প্রায়দিনই খাবারে থুথু , প্রস্রাব  মিশ্রণ করে বিক্রি করার খবর আসছে।

 

সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। আর ভিড় মেলায় এহেন ঘটনা ঘটলে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত আনবে। এছাড়া নাগা সন্ন্যাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আশ্রয় নিতে পারে কারণ তারা ধর্ম ও ঐতিহ্যে হস্তক্ষেপ স্বীকার করে না। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন সংগঠনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়, যদি মুসলিমরা কুম্ভমেলায় খাবারদাবার বিক্রি করে, তাহলে সনাতন ধর্মের  অনুগামীরা নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকবে না। নাগা সন্ন্যাসীরা তাদের শাস্তি দেবেন।

 

 কিছুদিন আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একই মত প্রকাশ করেছিলেন নির্মোহী আখড়ার প্রধান মহন্ত রাজেন্দ্র দাস।

 

তিনি বলেছিলেন,  মুসলমানদের পবিত্র স্থানে কি হিন্দুরা যায়? যদি না  যায়, তাহলে ওরা কেন মহাকুম্ভে ব্যবসা করতে আসবে! কিন্তু ওরা যদি সনাতন ধর্মে বিশ্বাস রাখে এবং পবিত্র গঙ্গামায়ের জলে ডুব দেয়, তাহলে কেউ আপত্তি করবে না। উল্লেখ্য, আগামী বছর মকর সংক্রান্তি থেকে প্রয়াগরাজে (প্রাক্তন এলাহাবাদ) শুরু হতে চলেছে মহাকুম্ভ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অনলাইন আবেদন। মহা কুম্ভের সমস্ত আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কিছু আবেদন অফলাইন এসেছে বলে জানা গেছে। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহাকুম্ভ মেলায় মুসলিম দোকানে নিষেধাজ্ঞা এবিভিপির

আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  মহাকুম্ভ মেলায় মুসলিম দোকানে নিষেধাজ্ঞা। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই খবর।

 

এদিন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি জানানো হয়, যে সকল দোকানদারদের প্রধান হিন্দু, শিখ, জৈন বা বৌদ্ধ নয় তাদের মহাকুম্ভে দোকান দেওয়ার জন্য জমি বা কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। হিন্দু, শিখ, জৈন বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাই মহাকুম্ভ মেলায় দোকানে দিতে পারবেন। এদিন আরও জানানো হয়, এই সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে না, তবে বিগত কয়েক দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুনঃ ওয়াকফ: ১২ নভেম্বর কলকাতায় আসছে জেপিসি

 

প্রায়দিনই খাবারে থুথু , প্রস্রাব  মিশ্রণ করে বিক্রি করার খবর আসছে।

 

সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। আর ভিড় মেলায় এহেন ঘটনা ঘটলে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত আনবে। এছাড়া নাগা সন্ন্যাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আশ্রয় নিতে পারে কারণ তারা ধর্ম ও ঐতিহ্যে হস্তক্ষেপ স্বীকার করে না। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন সংগঠনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়, যদি মুসলিমরা কুম্ভমেলায় খাবারদাবার বিক্রি করে, তাহলে সনাতন ধর্মের  অনুগামীরা নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকবে না। নাগা সন্ন্যাসীরা তাদের শাস্তি দেবেন।

 

 কিছুদিন আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একই মত প্রকাশ করেছিলেন নির্মোহী আখড়ার প্রধান মহন্ত রাজেন্দ্র দাস।

 

তিনি বলেছিলেন,  মুসলমানদের পবিত্র স্থানে কি হিন্দুরা যায়? যদি না  যায়, তাহলে ওরা কেন মহাকুম্ভে ব্যবসা করতে আসবে! কিন্তু ওরা যদি সনাতন ধর্মে বিশ্বাস রাখে এবং পবিত্র গঙ্গামায়ের জলে ডুব দেয়, তাহলে কেউ আপত্তি করবে না। উল্লেখ্য, আগামী বছর মকর সংক্রান্তি থেকে প্রয়াগরাজে (প্রাক্তন এলাহাবাদ) শুরু হতে চলেছে মহাকুম্ভ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অনলাইন আবেদন। মহা কুম্ভের সমস্ত আবেদন অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে কিছু আবেদন অফলাইন এসেছে বলে জানা গেছে। ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ।