প্রায় ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রাজ্যে, সিইওর কাছে ১৫ হাজার পৃষ্ঠার তালিকা জমা শুভেন্দুর

- আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার
- / 21
পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে প্রায় সতেরো লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এই দাবি জানিয়ে বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফাতবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রায় পনেরো হাজার পৃষ্ঠার তালিকা মোট ২৪টি ব্যাগে ভরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে আসেন শুভেন্দু আধিকারিক, শিশির বাজোরিয়ারা এবং জগন্নাথ চট্ট্যোপাধ্যায়।মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে প্রায় দশ মিনিটের বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমরা গতবার ডায়মন্ড হারবারের ভোটেরদের নিয়ে এসেছিলাম। বাংলার ভোটার তালিকায় বিডিও এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ব্যাপক গন্ডগোল করা হয়েছে।
শুভেন্দুর অভিযোগ, ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩২ জনের ভুয়ো ভোটার তালিকা দিয়ে গেলাম। যেখানে দুটি করে ভোটের তালিকায় নাম রয়েছে ১১, ৪৮৭ জনের। শাহজাহানরা সব জায়গায় বিরাজমান। কত দফায় হবে আমরা জানি না। আমরা চাই ৪২ দফায় হোক নির্বাচন। আমরা চাই শান্তিপূর্ন এবং নিরাপদ নির্বাচন হোক। এই ডকুমেন্ট আমরা সব দিয়ে গেলাম। সবার নম্বর একই রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপির দুটি লোকসভা কেন্দ্র হিন্দু এবং দলিত সম্প্রদায় ও মতুয়া সম্প্রদায়ের বনগাঁও এবং রানাঘাটে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যতক্ষণ নির্বাচনী বিধি চালু হচ্ছে না ততক্ষন আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কিছু বলবো না।
একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আজ আমাদের ৬ জনের প্রতিনিধি দল ছিলেন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ১০ দিনের সময় চেয়েছেন। ১ দিন হেয়ারিং করে যাতে ভুয়া ভোটেরদের নাম বাদ দেওয়া হয়, সেই দাবি জানিয়েছি। ৮ দিন পর আবার আমরা আসবো। ৫০% নাম ভুয়ো রয়েছে। প্রত্যেকের একটা ভোটাধিকার থাকে সেই দাবি আমরা জানিয়েছি। আমরা সিইওকে জানিয়েছি। তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে শুভেন্দু জানান, অমিত রায় চৌধুরী নামে একজন অ্যাডিশনাল সিইও ১১ বছর ধরে রয়েছেন। তিনি গোপন তথ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাপ্লাই করছেন। আমরা আপার লেভেলের ক্লার্ক এবং আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আর একজন আইএএস বিনোদ কুমারকে অ্যাডিশনাল সিইও করা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে দেবাঞ্জন দাসের ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ছিল। আমরা এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ফুল বেঞ্চকে জানাব। এই দুই অ্যাডিশনাল সিইওকে সরানোর দাবি করব। স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত তালিকা হোক আমরা সেটাই চাই।