জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইনের সংশোধনী কার্যকর, চালু নতুন নিয়ম

- আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার
- / 147
নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকরণ আইনে ২০তম সংশোধনী কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলস্বরূপ দেশজুড়ে নিবন্ধকরণ প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকরণের তথ্য সংরক্ষণ সহজতর এবং একটি কেন্দ্রীভূত ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি করতে চাইছে সরকার। যে কারণেই এই আইনে নতুন করে সংশোধনী আনা হয়েছে।
কংগ্রেস সরকারের আমলে ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন কার্যকর করা হয়। সেই আইনে সকলের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলের বাড়িতেই সবচেয়ে বেশি শিশু জন্ম নিত। ফলে অভিভাবকরা অনেকেই পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করেননি। এই সমস্যাকে আমলে নিয়ে পরে আনুমানিক বয়সগুলি স্ব-মূল্যায়নের ভিত্তিতে নথিভুক্ত করা হয়। ম্যাট্রিকুলেশন শংসাপত্র বা হলফনামা প্রায়শই জন্মের প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। তবে আইনে নতুন করে সংশোধন আনার ফলে নিবন্ধকরণ প্রক্রিয়ায় বদলে গিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির জন্ম তারিখ বা বয়স এবং জন্মস্থানের একমাত্র প্রমাণ হিসাবে জন্ম শংসাপত্রকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতদিন জন্মের প্রমাণ হিসেবে স্কুল সার্টিফিকেট ও এডমিট কার্ডকে গ্রহণ করা হত। তবে নতুন আইনের ফলে এগুলি আর গ্রহণযোগ্য হবে না। জন্মের প্রমাণ হিসেবে একমাত্র জন্ম সার্টিফিকেটকেই মান্যতা দেওয়া হবে।
নতুন সংশোধনীর ৩ নম্বর ধারা অনুসারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট-আধার ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি চাকরিতে নিয়োগসহ কেন্দ্রের অন্যান্য সরকারি কাজে জন্ম শংসাপত্রকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকরণের তথ্য ডিজিটালাইজ এবং কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস তৈরির বৃহত্তর উদ্যোগ। নতুন নিয়ম সরকারি দফতরগুলিকে দক্ষতার সাথে নথি যাচাই করতে এবং বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রধান করবে।