০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শাহ ইস্তফা দিয়ে দেশকে বাঁচান: সঞ্জয় রাউত

Pahalgam Terror Attack: অমিত শাহ দেশের সবথেকে অসফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সঞ্জয়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 361

Pahalgam Terror Attack: অমিত শাহ দেশের সবথেকে অসফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মোদির সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে। সেই রেশ ধরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করলেন উদ্ধব গোষ্ঠীর শিবসেনা নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত।

 

মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Terror Attack) পুরো দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিতে হবে। অমিত শাহ পদ থেকে ইস্তফা দিলে দেশের মানুষের ভালো হবে।

 

কারণ, অমিত শাহ কীভাবে বিরোধীদের নির্মূল করা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। ওনার উচিত দেশের প্রতি দয়া করে পদত্যাগ করা।’ মঙ্গলবার বিকালে পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরণ ভ্যালিতে জঙ্গি-হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন পর্যটক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকালই পৌঁছে গেছেন উপত্যকায়।

 

পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় সরব ওয়াইসি, মেহবুবা মুফতি থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক সমাজ

রাউত প্রশ্ন তুলেছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ কোনও সাহায্য পেয়েছেন? আসলে বিজেপি দেশের মানুষ বোকা বানাচ্ছে। রাউত বলেন, গত মাসে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন কাশ্মীরে শান্তি কায়েম হয়েছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর কাশ্মীরে শান্তি বহাল হয়েছে এবং আতঙ্কবাদী হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ৭০ শতাংশ কম হয়েছে। তাহলে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল কি করে?

 

দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষ ছড়িয়ে বিরোধীদের খতম করার চেষ্টা করছেন মোদি-শাহ জুটি। দেশের সুরক্ষা নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর। বিধায়ক-সাংসদ কেনাবেচা, বিজেপি শিবিরে না এলে তাদের সরকারি এজেন্সিগুলোকে দিয়ে ভয় দেখানো। সরকার ভেঙে সরকার গড়া…ইত্যাদি কর্মকাণ্ডেই মোদি-শাহ জুটি অধিকাংশ এনার্জি ব্যয় হয়ে যাচ্ছে, দেশের ভালো কিসে তা নিয়ে ওঁদের ভাবার সময় কোথায়?

 

এখানেই থামেননি সঞ্জয় রাউত। মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের তাদের নিজস্ব ভাষায় জবাব দেওয়ার মানে কী? এবার কি আরও বেশি করে মসজিদ ভেঙে ফেলবে, তারা কি হিন্দু-মুসলিম কার্ড খেলবে, বিহারে আগামী নভেম্বরে নির্বাচন, তাহলে আবার কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে নাকি?

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শাহ ইস্তফা দিয়ে দেশকে বাঁচান: সঞ্জয় রাউত

Pahalgam Terror Attack: অমিত শাহ দেশের সবথেকে অসফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সঞ্জয়

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

Pahalgam Terror Attack: অমিত শাহ দেশের সবথেকে অসফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মোদির সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে। সেই রেশ ধরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করলেন উদ্ধব গোষ্ঠীর শিবসেনা নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত।

 

মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী হামলার (Pahalgam Terror Attack) পুরো দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিতে হবে। অমিত শাহ পদ থেকে ইস্তফা দিলে দেশের মানুষের ভালো হবে।

 

কারণ, অমিত শাহ কীভাবে বিরোধীদের নির্মূল করা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন। ওনার উচিত দেশের প্রতি দয়া করে পদত্যাগ করা।’ মঙ্গলবার বিকালে পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরণ ভ্যালিতে জঙ্গি-হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জন পর্যটক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকালই পৌঁছে গেছেন উপত্যকায়।

 

পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় সরব ওয়াইসি, মেহবুবা মুফতি থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক সমাজ

রাউত প্রশ্ন তুলেছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ কোনও সাহায্য পেয়েছেন? আসলে বিজেপি দেশের মানুষ বোকা বানাচ্ছে। রাউত বলেন, গত মাসে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন কাশ্মীরে শান্তি কায়েম হয়েছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর কাশ্মীরে শান্তি বহাল হয়েছে এবং আতঙ্কবাদী হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ৭০ শতাংশ কম হয়েছে। তাহলে এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল কি করে?

 

দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষ ছড়িয়ে বিরোধীদের খতম করার চেষ্টা করছেন মোদি-শাহ জুটি। দেশের সুরক্ষা নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর। বিধায়ক-সাংসদ কেনাবেচা, বিজেপি শিবিরে না এলে তাদের সরকারি এজেন্সিগুলোকে দিয়ে ভয় দেখানো। সরকার ভেঙে সরকার গড়া…ইত্যাদি কর্মকাণ্ডেই মোদি-শাহ জুটি অধিকাংশ এনার্জি ব্যয় হয়ে যাচ্ছে, দেশের ভালো কিসে তা নিয়ে ওঁদের ভাবার সময় কোথায়?

 

এখানেই থামেননি সঞ্জয় রাউত। মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের তাদের নিজস্ব ভাষায় জবাব দেওয়ার মানে কী? এবার কি আরও বেশি করে মসজিদ ভেঙে ফেলবে, তারা কি হিন্দু-মুসলিম কার্ড খেলবে, বিহারে আগামী নভেম্বরে নির্বাচন, তাহলে আবার কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে নাকি?