২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজ্যপালের মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী বদল

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার
  • / 6

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122

মোল্লা জসিমউদ্দিন: এবার চমক রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বদল হল। সরানো হল সঞ্জয় বসুকে। এই সঞ্জয় বসু আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আইনজীবী বলে পরিচিত। জানা গেছে, এবার থেকে এই মামলা লড়বেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনদের শপথ গ্রহণ ঘিরে যে জটিলতা ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল বোস। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নাম রয়েছে। এ ছাড়াও ছিলেন কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকারা ও আরও এক। এই চারজনের বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা হয়েছিল, তার শুনানি ছিল। এই মামলাটি এতদিন ধরে দেখছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তিনি আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী হিসাবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। সঞ্জয়ের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়বে ‘ফক্স অ্যান্ড মণ্ডল’ কোম্পানি (এটি একটি সলিসিটর ফার্ম। এই কোম্পানি নিয়োগ করে আইনজীবীদের)। এই কোম্পানি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা লড়ার জন্য। সঞ্জয় বসু বিশিষ্ট আইনজীবীর পাশাপাশি অভিষেকের ঘনিষ্ঠ হিসাবে তাঁর পরিচয় আছে। মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী হিসাবে তাঁর এই অপসারণ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনদের শপথগ্রহণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নির্দেশ দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকারকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য। তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করাননি তিনি। শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই শপথ বাক্য পাঠ করান বিধায়কদের। তবে এ দিন কোনও মামলার শুনানি হয়নি। খুব শীঘ্রই শুনানির দিন জানাবে আদালত। নবান্ন এবং রাজভবন সংঘাত প্রবল ছিল একসময়। গতবছর জুন মাসে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ-জট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গত লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বাংলায় দু’টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই ভোটে বরাহনগর এবং ভগবানগোলা থেকে জিতেছিলেন যথাক্রমে তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন। এই দু’জনের শপথ নিয়ে জটিলতার সূত্রপাত হয়। রাজ্যপাল এবং বিধানসভার মধ্যেও সংঘাত তৈরি আকার নেয়। স্পষ্ট জানানো হয় দুজনকে শপথ নিতে আসতে হবে রাজভবনে। যদিও দুই বিধায়ক চান, শপথ হোক বিধানসভাতেই। এই বিষয়ে দু’পক্ষের দীর্ঘ স্নায়ুযুদ্ধ চলে। আর এই সময় বেশ কিছু মন্তব্য যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এই অবস্থায় শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর এরপরেই প্রশাসনিক প্রধান-সহ একাধিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যপালের মানহানি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী বদল

আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: এবার চমক রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বদল হল। সরানো হল সঞ্জয় বসুকে। এই সঞ্জয় বসু আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আইনজীবী বলে পরিচিত। জানা গেছে, এবার থেকে এই মামলা লড়বেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনদের শপথ গ্রহণ ঘিরে যে জটিলতা ছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল বোস। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নাম রয়েছে। এ ছাড়াও ছিলেন কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকারা ও আরও এক। এই চারজনের বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা হয়েছিল, তার শুনানি ছিল। এই মামলাটি এতদিন ধরে দেখছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তিনি আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী হিসাবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। সঞ্জয়ের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়বে ‘ফক্স অ্যান্ড মণ্ডল’ কোম্পানি (এটি একটি সলিসিটর ফার্ম। এই কোম্পানি নিয়োগ করে আইনজীবীদের)। এই কোম্পানি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা লড়ার জন্য। সঞ্জয় বসু বিশিষ্ট আইনজীবীর পাশাপাশি অভিষেকের ঘনিষ্ঠ হিসাবে তাঁর পরিচয় আছে। মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী হিসাবে তাঁর এই অপসারণ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনদের শপথগ্রহণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস নির্দেশ দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকারকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য। তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করাননি তিনি। শেষে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই শপথ বাক্য পাঠ করান বিধায়কদের। তবে এ দিন কোনও মামলার শুনানি হয়নি। খুব শীঘ্রই শুনানির দিন জানাবে আদালত। নবান্ন এবং রাজভবন সংঘাত প্রবল ছিল একসময়। গতবছর জুন মাসে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ-জট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। গত লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বাংলায় দু’টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছিল। সেই ভোটে বরাহনগর এবং ভগবানগোলা থেকে জিতেছিলেন যথাক্রমে তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন। এই দু’জনের শপথ নিয়ে জটিলতার সূত্রপাত হয়। রাজ্যপাল এবং বিধানসভার মধ্যেও সংঘাত তৈরি আকার নেয়। স্পষ্ট জানানো হয় দুজনকে শপথ নিতে আসতে হবে রাজভবনে। যদিও দুই বিধায়ক চান, শপথ হোক বিধানসভাতেই। এই বিষয়ে দু’পক্ষের দীর্ঘ স্নায়ুযুদ্ধ চলে। আর এই সময় বেশ কিছু মন্তব্য যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এই অবস্থায় শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর এরপরেই প্রশাসনিক প্রধান-সহ একাধিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন রাজ্যপাল।