২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে আদালত অবমাননা মামলা হাইকোর্টে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 9

The Calcutta High Court is the oldest High Court in India. It was built in 1862 during British Colonial in India . It is located at Kolkata , India

মোল্লা জসিমউদ্দিন: এবার আদালত অবমাননা মামলার মুখে রাজ্য সরকার। ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কার্যকর করেনি রাজ্য। ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি হওয়া সব ‘ওবিসি সার্টিফিকেট’ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। গত বছরের ২২ মে ওই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।সেই নির্দেশ দেওয়ার পর প্রায় ৯ মাস পরও কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই ইস্যুতেই নতুন করে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে।সঠিক পদ্ধতি মেনে ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর প্রায়  ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। এখনও চলছে সেই মামলার শুনানি। এরই মধ্যে আদালত অবমাননার মামলা হল রাজ্যের বিরুদ্ধে।ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করায় রাজ্যের অনিচ্ছা ও উদাসীনতায় চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।

 

নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্ট। আগামী ১২ মার্চ দুপুর ২ টোয় এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১২ মার্চ দুপুর দুটোয় মামলার শুনানিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সেখানে এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। এখনও সেখানে চূড়ান্ত শুনানি চলছে। তারপরেও কেন হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকরে অনীহা তাই নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের  ডিভিশন বেঞ্চ।সুপ্রিম কোর্টে মূল মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও ৬ জানুয়ারি দায়ের হওয়া একটি মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

 

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, -‘ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলা নিয়ে হাইকোর্ট যা রায় দিয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না’। গত বছর হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়েছিল, -‘ওবিসি তালিকা পুরোপুরি আইন মেনে তৈরি করা হয়নি। নির্দিষ্ট সমীক্ষা না করেই, নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই কারা ওবিসি, তা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী’। আগামী ১২ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে আদালত অবমাননা মামলা হাইকোর্টে

আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: এবার আদালত অবমাননা মামলার মুখে রাজ্য সরকার। ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কার্যকর করেনি রাজ্য। ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি হওয়া সব ‘ওবিসি সার্টিফিকেট’ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। গত বছরের ২২ মে ওই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।সেই নির্দেশ দেওয়ার পর প্রায় ৯ মাস পরও কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই ইস্যুতেই নতুন করে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে।সঠিক পদ্ধতি মেনে ওবিসি শংসাপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর প্রায়  ১২ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। এখনও চলছে সেই মামলার শুনানি। এরই মধ্যে আদালত অবমাননার মামলা হল রাজ্যের বিরুদ্ধে।ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করায় রাজ্যের অনিচ্ছা ও উদাসীনতায় চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।

 

নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্ট। আগামী ১২ মার্চ দুপুর ২ টোয় এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১২ মার্চ দুপুর দুটোয় মামলার শুনানিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সেখানে এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। এখনও সেখানে চূড়ান্ত শুনানি চলছে। তারপরেও কেন হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকরে অনীহা তাই নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের  ডিভিশন বেঞ্চ।সুপ্রিম কোর্টে মূল মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও ৬ জানুয়ারি দায়ের হওয়া একটি মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

 

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, -‘ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলা নিয়ে হাইকোর্ট যা রায় দিয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করা হবে না’। গত বছর হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়েছিল, -‘ওবিসি তালিকা পুরোপুরি আইন মেনে তৈরি করা হয়নি। নির্দিষ্ট সমীক্ষা না করেই, নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই কারা ওবিসি, তা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী’। আগামী ১২ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।