২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার
  • / 1

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। যা ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুধু ফাটল নয়, পড়েছে শ্যাওলার পুরু আস্তরণও। যার ফলে মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) সাহায্য চেয়েছে ওড়িশা সরকার। তারাই দেওয়ালের ফাটল মেরামত করবে বলে জানা গেছে।

মূল মন্দিরের বাইরে চৌহদ্দি নির্দিষ্ট করে যে পুরু দেওয়াল রয়েছে, তার নাম মেঘনাদ পচেরী। বছরের পর বছর ধরে মূল মন্দিরকে সুরক্ষিত করে আসছে এই দেওয়াল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, আর্দ্রতার কারণে হয়েছে এই ফাটল। এখনই পদক্ষেপ না নিলে মন্দিরের আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। মন্দিরের অভ্যন্তরে আনন্দবাজার বলে একটি জায়গায় ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সেখান থেকেই নোংরা, খাবার, জল বাইরের দেওয়াল বেয়ে বাইরে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই এইভাবে চলছে।

ওড়িশার ঐতিহ্যশালী এই জগন্নাথ মন্দির রাজ্যের আইন বিভাগের অধীনে পড়ে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, এই ফাটলগুলি হওয়ার পিছনে কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা হচ্ছে। হতে পারে এএসআই এর অনুমতি ছাড়া কিছু করা হয়েছে যার ফলে মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে এরকম হয়েছে। কোনও বেআইনি কাজ করা হয়েছে কী না খতিয়ে দেখা হবে তাও।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। যা ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুধু ফাটল নয়, পড়েছে শ্যাওলার পুরু আস্তরণও। যার ফলে মন্দিরের রক্ষনাবেক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) সাহায্য চেয়েছে ওড়িশা সরকার। তারাই দেওয়ালের ফাটল মেরামত করবে বলে জানা গেছে।

মূল মন্দিরের বাইরে চৌহদ্দি নির্দিষ্ট করে যে পুরু দেওয়াল রয়েছে, তার নাম মেঘনাদ পচেরী। বছরের পর বছর ধরে মূল মন্দিরকে সুরক্ষিত করে আসছে এই দেওয়াল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, আর্দ্রতার কারণে হয়েছে এই ফাটল। এখনই পদক্ষেপ না নিলে মন্দিরের আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। মন্দিরের অভ্যন্তরে আনন্দবাজার বলে একটি জায়গায় ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সেখান থেকেই নোংরা, খাবার, জল বাইরের দেওয়াল বেয়ে বাইরে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই এইভাবে চলছে।

ওড়িশার ঐতিহ্যশালী এই জগন্নাথ মন্দির রাজ্যের আইন বিভাগের অধীনে পড়ে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছেন, এই ফাটলগুলি হওয়ার পিছনে কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা হচ্ছে। হতে পারে এএসআই এর অনুমতি ছাড়া কিছু করা হয়েছে যার ফলে মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে এরকম হয়েছে। কোনও বেআইনি কাজ করা হয়েছে কী না খতিয়ে দেখা হবে তাও।