০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটার তালিকা থেকে সরানো হবে ভুয়ো এপিক নম্বর, তৃণমূলের অভিযোগেই মান্যতা নির্বাচন কমিশন

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৭ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 35

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ‘ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো এপিক নম্বর সরিয়ে ফেলা হবে’। তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার বিবৃতি দিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হল, ‘আগামী তিন মাসের  ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন’।

কমিশনের বিবৃতিতে উল্লেখ,  ‘ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের সমস্যা দীর্ঘদিনের। নম্বর বরাদ্দের সময় কিছু ভুলের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ব্যক্তিকে একই নম্বর দেওয়া হয়েছে।  এবার প্রযুক্তিগত দল ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করে প্রতিটি ভোটারকে একক এপিক নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা  করা হবে’।

এদিকে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে দেখছে তৃণমূল। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতা আবার প্রমাণিত হল। অন্য বিরোধী দলগুলি থেকে যে আমরা এগিয়ে সেটা প্রমাণিত হল। অপরাধ যে সংগঠিত হচ্ছে, তার গন্ধ পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা নেমে এটা আটকালেন। নির্বাচন কমিশনের উপায় রইল না, ষড়যন্ত্রটাকে চালিয়ে যাওয়ার। নিজেদের কাজ ঠিকমতো এবার করতেই হবে’।

ঘটনাটি ঠিক কী? গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভোটার তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই বাইরের লোকের নাম ঢোকাচ্ছে’। এরপর রাজ্যদজুড়ে ‘ভুতুড়ে’ ভোটার ধরতে ময়দানে নামেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, কমিশনের তরফে পাল্টা বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল,  ‘একই এপিক নম্বরের অধিকারী হতে পারেন একাধিক মানুষ। একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার অর্থ ভুয়ো ভোটার নয়’। কমিশনের দাবি, ‘এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না’। কিন্তু চাপের মুখে শেষপর্যন্ত তৃণমূলের অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল কমিশন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভোটার তালিকা থেকে সরানো হবে ভুয়ো এপিক নম্বর, তৃণমূলের অভিযোগেই মান্যতা নির্বাচন কমিশন

আপডেট : ৭ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ‘ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো এপিক নম্বর সরিয়ে ফেলা হবে’। তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার বিবৃতি দিল নির্বাচন কমিশন। জানানো হল, ‘আগামী তিন মাসের  ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন’।

কমিশনের বিবৃতিতে উল্লেখ,  ‘ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের সমস্যা দীর্ঘদিনের। নম্বর বরাদ্দের সময় কিছু ভুলের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ব্যক্তিকে একই নম্বর দেওয়া হয়েছে।  এবার প্রযুক্তিগত দল ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করে প্রতিটি ভোটারকে একক এপিক নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা  করা হবে’।

এদিকে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে দেখছে তৃণমূল। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতা আবার প্রমাণিত হল। অন্য বিরোধী দলগুলি থেকে যে আমরা এগিয়ে সেটা প্রমাণিত হল। অপরাধ যে সংগঠিত হচ্ছে, তার গন্ধ পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা নেমে এটা আটকালেন। নির্বাচন কমিশনের উপায় রইল না, ষড়যন্ত্রটাকে চালিয়ে যাওয়ার। নিজেদের কাজ ঠিকমতো এবার করতেই হবে’।

ঘটনাটি ঠিক কী? গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভোটার তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই বাইরের লোকের নাম ঢোকাচ্ছে’। এরপর রাজ্যদজুড়ে ‘ভুতুড়ে’ ভোটার ধরতে ময়দানে নামেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে, কমিশনের তরফে পাল্টা বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল,  ‘একই এপিক নম্বরের অধিকারী হতে পারেন একাধিক মানুষ। একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার অর্থ ভুয়ো ভোটার নয়’। কমিশনের দাবি, ‘এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না’। কিন্তু চাপের মুখে শেষপর্যন্ত তৃণমূলের অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল কমিশন।