২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলাঃ ধৃত প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার
  • / 1

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় ‘মিডল‍ম‍্যান’ প্রসন্ন কুমার রায়ের ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান হয়েছে, প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায় ও তার স্ত্রী শ্রীমতী কাজল সোনি রায় এবং তাদের সংস্থার নামে থাকা হোটেল রিসর্ট ও স্থাবর সম্পত্তি যার পরিমান ১৬৩ কোটি। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ফলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট অর্থ এবং সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

Read more: লাদাখের ডেপসাং-ডেমচক থেকে সেনা সরাচ্ছে ভারত ও চিন  

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিতে প্রসন্ন কুমার রায় এবং তাঁর স্ত্রীর পাশপাশি উল্লেখ‍ রয়েছে একটি কোম্পানির নাম। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডর নামে এই সংস্থাটি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতেন প্রসন্নই।

বর্তমানে প্রসন্ন জেল হেফাজতে রয়েছেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেও পরে ইডি গ্রেফতার করে তাকে। তদন্তে নেমে প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থায় ২৬ কোটি ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭২ টাকার খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসন্নের দাবি, এই সম্পূর্ণ টাকা কৃষিকাজের সূত্রে তিনি আয় করেছেন। আখ, পেঁপে, কলা, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, বিন্‌স, সর্ষে, নারকেল রয়েছে সেই চাষের তালিকায়। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটেও সে কথা জানিয়েছে ইডি। প্রসন্ন ইডিকে জানান, স্থানীয় চাষিদের মজুরির ভিত্তিতে জমিতে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। রোজগার করা অর্থ নিজের বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইডি আগেই জানিয়েছিল প্রসন্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর এক আত্মীয়র সঙ্গে বিয়েও হয়েছে তার। সেই সূত্রেই প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম দালাল। বছর চারেক আগে সল্টলেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা খোলেন প্রসন্ন। সেই অফিসেই নিয়োগের দুর্নীতি হত বলে দাবি তদন্তকারীদের। তার অফিস হয়ে উঠেছিল টাকা লেনদেনের এপিসেন্টার।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিয়োগ দুর্নীতি মামলাঃ ধৃত প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় ‘মিডল‍ম‍্যান’ প্রসন্ন কুমার রায়ের ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান হয়েছে, প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায় ও তার স্ত্রী শ্রীমতী কাজল সোনি রায় এবং তাদের সংস্থার নামে থাকা হোটেল রিসর্ট ও স্থাবর সম্পত্তি যার পরিমান ১৬৩ কোটি। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ফলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট অর্থ এবং সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

Read more: লাদাখের ডেপসাং-ডেমচক থেকে সেনা সরাচ্ছে ভারত ও চিন  

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিতে প্রসন্ন কুমার রায় এবং তাঁর স্ত্রীর পাশপাশি উল্লেখ‍ রয়েছে একটি কোম্পানির নাম। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডর নামে এই সংস্থাটি নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতেন প্রসন্নই।

বর্তমানে প্রসন্ন জেল হেফাজতে রয়েছেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেও পরে ইডি গ্রেফতার করে তাকে। তদন্তে নেমে প্রসন্নের বিভিন্ন সংস্থায় ২৬ কোটি ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৭২ টাকার খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসন্নের দাবি, এই সম্পূর্ণ টাকা কৃষিকাজের সূত্রে তিনি আয় করেছেন। আখ, পেঁপে, কলা, ক্যাপসিকাম, টম্যাটো, বিন্‌স, সর্ষে, নারকেল রয়েছে সেই চাষের তালিকায়। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটেও সে কথা জানিয়েছে ইডি। প্রসন্ন ইডিকে জানান, স্থানীয় চাষিদের মজুরির ভিত্তিতে জমিতে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। রোজগার করা অর্থ নিজের বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইডি আগেই জানিয়েছিল প্রসন্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর এক আত্মীয়র সঙ্গে বিয়েও হয়েছে তার। সেই সূত্রেই প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম দালাল। বছর চারেক আগে সল্টলেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা খোলেন প্রসন্ন। সেই অফিসেই নিয়োগের দুর্নীতি হত বলে দাবি তদন্তকারীদের। তার অফিস হয়ে উঠেছিল টাকা লেনদেনের এপিসেন্টার।