০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 9

 

 

আরও পড়ুন: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগে মামলার মুখে ‘বায়োএনটেক’  

 

আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের পর স্কুল থেকে সরিয়ে ফেলা হল মালালা ইউসুফজাই-এর পোস্টার

 

আরও পড়ুন: ভোটমুখী দেশে ১২ রাজ্যে বদল রাজ্যপাল  

নাজমুল সর্দার, দক্ষিণ দিনাজপুর : দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৭৬ টা বছর পার হয়ে গেল। অথচ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এতগুলো বছর তো দেশ স্বাধীন হয়ে গেল কিন্তু এখনও দেশের উন্নয়নে  ত্রুটিবিচ্যুতি অনেক ক্ষেত্রেই থেকে গেছে। আজও অনেক জায়গাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য,চাকরি, রাস্তা-ঘাট, পানীয় জল  পৌঁছায়নি।  আর তেমনই এক উদাহরণ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ১ নং সাফানগর অঞ্চলের মির্জাপুর গ্রাম।

 

 

দেশ স্বাধীনতা লাভের পর কেটে গেছে প্রায় দীর্ঘ কয়েক দশক কেটে যাওয়ার পরেও   সিমেন্টের ঢালাই রাস্তার মুখ দেখেনি ১ নং সাফানগর অঞ্চলের মির্জাপুর গ্রামবাসীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন নেতা-মন্ত্রীদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি পেয়ে এসেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশেষকরে বর্ষাকালে মাটির রাস্তাটি নোংরা জলকাদায় ভরে যায়। মূলত এটি রাস্তা না চাষের জমি বোঝাই মুশকিল।ফলে গ্রামে যানবাহন ঢোকা তো দূরের কথা, হেঁটে যাতায়াত করাটাও অসুবিধা হয়ে দাঁড়ায়।

 

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

 

 

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাজু সরকার দুঃখের সুরে জানান, “আমরা অনেকবার প্রধানের কাছে দরখাস্ত জমা দিয়েছিলাম, বলছে মাটির রাস্তাটি ঢালাই হবে কিন্তু হচ্ছেটা কই? আমাদের বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে যাওয়া, বালুরঘাট শহরে প্রয়োজনীয় কাজে নিত্যনৈমিত্তিক যাতায়াত সহ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই মাটির রাস্তা পেরোতে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হয়।”

 

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

 

মির্জাপুর গ্রামেরই অন্য কয়েকজন বাসিন্দা সত্যম সরকার,মিঠুন রায়,  ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “এই রাস্তায় একটু বৃষ্টিতে প্রচুর কাদা  হয়।  কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনা, তখন রাস্তাতেই রোগী মারা যায়। তাই আমরা চাই, দ্রুত পাকা রাস্তা তৈরি করা হোক।”

 

 

এবিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের ১ নং সাফানগর অঞ্চলের প্রধান রাজকুমার রায় বলেন, “মূলত এটা ফাণ্ডের একটা সমস্যা  ২০২৩ সালে আমাদের ফাণ্ডে টাকা ঢোকেনি, টাকা ঢুকলেই রাস্তাটি শীঘ্রই করে দেওয়া হবে।”

 

 

 

 

 

অন‍্যদিকে কুমারগঞ্জ ব্লকের বিডিও ছেওয়া তামাং বলেন “এই রাস্তাটি জেলাপরিষদ থেকে হওয়ার কথা, আমরা তো ওখানে হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার

 

 

আরও পড়ুন: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগে মামলার মুখে ‘বায়োএনটেক’  

 

আরও পড়ুন: গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের পর স্কুল থেকে সরিয়ে ফেলা হল মালালা ইউসুফজাই-এর পোস্টার

 

আরও পড়ুন: ভোটমুখী দেশে ১২ রাজ্যে বদল রাজ্যপাল  

নাজমুল সর্দার, দক্ষিণ দিনাজপুর : দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৭৬ টা বছর পার হয়ে গেল। অথচ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এতগুলো বছর তো দেশ স্বাধীন হয়ে গেল কিন্তু এখনও দেশের উন্নয়নে  ত্রুটিবিচ্যুতি অনেক ক্ষেত্রেই থেকে গেছে। আজও অনেক জায়গাই শিক্ষা, স্বাস্থ্য,চাকরি, রাস্তা-ঘাট, পানীয় জল  পৌঁছায়নি।  আর তেমনই এক উদাহরণ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ১ নং সাফানগর অঞ্চলের মির্জাপুর গ্রাম।

 

 

দেশ স্বাধীনতা লাভের পর কেটে গেছে প্রায় দীর্ঘ কয়েক দশক কেটে যাওয়ার পরেও   সিমেন্টের ঢালাই রাস্তার মুখ দেখেনি ১ নং সাফানগর অঞ্চলের মির্জাপুর গ্রামবাসীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন নেতা-মন্ত্রীদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতি পেয়ে এসেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশেষকরে বর্ষাকালে মাটির রাস্তাটি নোংরা জলকাদায় ভরে যায়। মূলত এটি রাস্তা না চাষের জমি বোঝাই মুশকিল।ফলে গ্রামে যানবাহন ঢোকা তো দূরের কথা, হেঁটে যাতায়াত করাটাও অসুবিধা হয়ে দাঁড়ায়।

 

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

 

 

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাজু সরকার দুঃখের সুরে জানান, “আমরা অনেকবার প্রধানের কাছে দরখাস্ত জমা দিয়েছিলাম, বলছে মাটির রাস্তাটি ঢালাই হবে কিন্তু হচ্ছেটা কই? আমাদের বাচ্চাদের স্কুল-কলেজে যাওয়া, বালুরঘাট শহরে প্রয়োজনীয় কাজে নিত্যনৈমিত্তিক যাতায়াত সহ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই মাটির রাস্তা পেরোতে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হয়।”

 

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও রাস্তার অভাবে নিত্য সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা

 

মির্জাপুর গ্রামেরই অন্য কয়েকজন বাসিন্দা সত্যম সরকার,মিঠুন রায়,  ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “এই রাস্তায় একটু বৃষ্টিতে প্রচুর কাদা  হয়।  কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনা, তখন রাস্তাতেই রোগী মারা যায়। তাই আমরা চাই, দ্রুত পাকা রাস্তা তৈরি করা হোক।”

 

 

এবিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের ১ নং সাফানগর অঞ্চলের প্রধান রাজকুমার রায় বলেন, “মূলত এটা ফাণ্ডের একটা সমস্যা  ২০২৩ সালে আমাদের ফাণ্ডে টাকা ঢোকেনি, টাকা ঢুকলেই রাস্তাটি শীঘ্রই করে দেওয়া হবে।”

 

 

 

 

 

অন‍্যদিকে কুমারগঞ্জ ব্লকের বিডিও ছেওয়া তামাং বলেন “এই রাস্তাটি জেলাপরিষদ থেকে হওয়ার কথা, আমরা তো ওখানে হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।