২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেহাল অবস্থায় পড়ে সুন্দরবনের কৈখালী ফ্লাড সেন্টার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 10

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রতিবছরই সুন্দরবনে কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোই লেগেই থাকে। যার কারনে সুন্দরবনের নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের দুর্যোগের কথা কানে আসলে ঘুম উড়ে যায়। ভিটে মাটি ছেড়ে তাদের আশ্রয় হয় কোন না কোন ত্রাণ শিবিরে। আর এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলেই তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়। বাম আমলে ঘূর্ণিঝড়ের মতন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় সুন্দরবনের মানুষকে আশ্রয় দিতে সুন্দরবনে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ফ্ল্যাড সেন্টার তৈরি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ঠিকমতন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে বর্তমানে কুলতলিরগোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের কৈখালি ফ্লাড সেল্টারটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যখন এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মত তাঁরা যখন নদীর পার্শ্ববর্তী মাটির বাড়ি ছেড়ে ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নেয়, ঠিক তখনই সুন্দরবনের কুলতলির গোপালগঞ্জের সম্পূর্ণ চিত্রটি আলাদা হয়ে যায়। এই ফ্ল্যাড সেন্টারের পাশেই রয়েছে কুলতলি গোপালগঞ্জ বি কে আর এম হাইস্কুল, আর সেই স্কুলেই আশ্রয় নেয় গ্রামবাসীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ফ্ল্যাড সেন্টার। ঘূর্ণিঝড় হলে এখানেই আশ্রয় নেন গ্রামবাসীরা। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে কুলতলি ব্লকে ৭টি ফ্লাড সেন্টার ও বেশ কয়েকটি স্কুল খুলে রাখা হয়। এ বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল দ্রুত কৈখালি ফ্লাড সেন্টারটির মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Tag :

রিপোর্টার

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেহাল অবস্থায় পড়ে সুন্দরবনের কৈখালী ফ্লাড সেন্টার

আপডেট : ৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: প্রতিবছরই সুন্দরবনে কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোই লেগেই থাকে। যার কারনে সুন্দরবনের নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের দুর্যোগের কথা কানে আসলে ঘুম উড়ে যায়। ভিটে মাটি ছেড়ে তাদের আশ্রয় হয় কোন না কোন ত্রাণ শিবিরে। আর এভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলেই তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়। বাম আমলে ঘূর্ণিঝড়ের মতন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় সুন্দরবনের মানুষকে আশ্রয় দিতে সুন্দরবনে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় পুনর্বাসন কেন্দ্র বা ফ্ল্যাড সেন্টার তৈরি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ঠিকমতন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে বর্তমানে কুলতলিরগোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের কৈখালি ফ্লাড সেল্টারটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যখন এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মত তাঁরা যখন নদীর পার্শ্ববর্তী মাটির বাড়ি ছেড়ে ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নেয়, ঠিক তখনই সুন্দরবনের কুলতলির গোপালগঞ্জের সম্পূর্ণ চিত্রটি আলাদা হয়ে যায়। এই ফ্ল্যাড সেন্টারের পাশেই রয়েছে কুলতলি গোপালগঞ্জ বি কে আর এম হাইস্কুল, আর সেই স্কুলেই আশ্রয় নেয় গ্রামবাসীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ফ্ল্যাড সেন্টার। ঘূর্ণিঝড় হলে এখানেই আশ্রয় নেন গ্রামবাসীরা। ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে কুলতলি ব্লকে ৭টি ফ্লাড সেন্টার ও বেশ কয়েকটি স্কুল খুলে রাখা হয়। এ বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল দ্রুত কৈখালি ফ্লাড সেন্টারটির মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।