২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জার্মানির জোট সরকারে দ্বন্দ্ব, হতে পারে আগাম ভোট

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার
  • / 8

বার্লিন, ৮ নভেম্বরঃ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ তার মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার পর দেশটির ক্ষমতাসীন তিন দলীয় জোটের পতন হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটিতে রাজনৈতিক এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। জার্মানি সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলজের নেতৃত্বে ২০২১ সালে জোট সরকার গঠন করেছিল ব্যবসাবান্ধব দল এফডিপি ও পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টি। অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে কয়েক মাস ধরে এই তিন দলের নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য চলছে। যার ফলে গত জুলাই মাসেও একবার এ সরকার ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেল তাদের জোট। শলজ জানান, আগাম ভোট আয়োজনের জন্য তিনি ১৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে আস্থা ভোট চাইবেন। কিন্তু বিরোধী কনজারভেটিভরা দাবি তুলেছে, এই মুহূর্তে আস্থা ভোট করতে হবে।

Read More: জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে লাভ ইলন মাস্কের

বিশ্লেষকরা বলছেন, এক অস্থিরতা ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিকে আঘাত করেছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর জার্মানির বাণিজ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কের ওপর এই সংকট প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বুধবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন শলজ। এফডিপি দলের প্রধান ও জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার জার্মানির অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আছে করপোরেট কর কমানো, জলবায়ু নীতি সহজ করা এবং সামাজিক ভাতা কমানো। তবে এসব বিষয়ে একমত হওয়া শ্রমিকবান্ধব দল এসপিডি ও পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টির জন্য কঠিন। সবশেষ জরিপে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের জনপ্রিয়তা বেশ নিচে নেমে যাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এখন নির্বাচন হলে এফডিপি দল সংসদে যাওয়ার জন্য অন্তত পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা পাবে কিনা সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে। আর এসপিডি ও গ্রিন পার্টিও ২০২১ সালের তুলনায় অনেক কম ভোট পেতে পারে।

Tag :

রিপোর্টার

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জার্মানির জোট সরকারে দ্বন্দ্ব, হতে পারে আগাম ভোট

আপডেট : ৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

বার্লিন, ৮ নভেম্বরঃ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ তার মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীকে পদচ্যুত করার পর দেশটির ক্ষমতাসীন তিন দলীয় জোটের পতন হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটিতে রাজনৈতিক এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। জার্মানি সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলজের নেতৃত্বে ২০২১ সালে জোট সরকার গঠন করেছিল ব্যবসাবান্ধব দল এফডিপি ও পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টি। অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে কয়েক মাস ধরে এই তিন দলের নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য চলছে। যার ফলে গত জুলাই মাসেও একবার এ সরকার ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেল তাদের জোট। শলজ জানান, আগাম ভোট আয়োজনের জন্য তিনি ১৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে আস্থা ভোট চাইবেন। কিন্তু বিরোধী কনজারভেটিভরা দাবি তুলেছে, এই মুহূর্তে আস্থা ভোট করতে হবে।

Read More: জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে লাভ ইলন মাস্কের

বিশ্লেষকরা বলছেন, এক অস্থিরতা ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতিকে আঘাত করেছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর জার্মানির বাণিজ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কের ওপর এই সংকট প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বুধবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন শলজ। এফডিপি দলের প্রধান ও জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার জার্মানির অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আছে করপোরেট কর কমানো, জলবায়ু নীতি সহজ করা এবং সামাজিক ভাতা কমানো। তবে এসব বিষয়ে একমত হওয়া শ্রমিকবান্ধব দল এসপিডি ও পরিবেশবান্ধব দল গ্রিন পার্টির জন্য কঠিন। সবশেষ জরিপে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের জনপ্রিয়তা বেশ নিচে নেমে যাওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এখন নির্বাচন হলে এফডিপি দল সংসদে যাওয়ার জন্য অন্তত পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা পাবে কিনা সেই বিষয়ে সংশয় রয়েছে। আর এসপিডি ও গ্রিন পার্টিও ২০২১ সালের তুলনায় অনেক কম ভোট পেতে পারে।