২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হায়দরাবাদে ৬ বাংলাদেশি পাচারকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার
  • / 4

হায়দরাবাদ, ৯ নভেম্বর: হায়দরাবাদের ছাত্রিনাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারের চক্রের পর্দা ফাঁস হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পরদুই মহিলাসহ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে নামপালির একটি দায়রা আদালত। আদালত ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৯  সালে, শহর-ভিত্তিক এনজিও প্রজওয়ালা  দুই বাংলাদেশী মহিলাকে উদ্ধার করেছিল। তাদের দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে, তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে  জাতীয় তদন্ত সংস্থা চাত্রিনাকায় তল্লাশি চালায় এবং র্যাকেটের পিছনে থাকা তিন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। এনআইএ-র দায়ের করা একটি অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আদালত বিচার পরিচালনা করার পরে ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত কর।  তাদের নাম  মোহাম্মদ ইউসুফ খান, বিথি বেগম, সোজিব, রুহুল আমিন ঢালী, খোনলা জাস্টিন এবং শিবলি খাতুন।

Read More: আমেরিকায় গিয়ে জো নেশানহুডের ডাক দিয়ে বিতর্কে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী

আইপিসির ধারা ৩৭০ (ব্যক্তি পাচার) অভিযোগে ছয়জন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনৈতিক পাচার প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘনসহ অন্যান্য অভিযোগেও তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকেই তারা বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে ছিলেন। এনআইএ তদন্তে জানা গেছেঅভিযুক্তরা ভাল বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশি মেয়েদের প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের ভারতে পাচার করেছিল, যেখানে তাদের পরে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

২০১৯  সালের আগস্টে একটি অভিযানের সময় হায়দরাবাদের উপ্পুগুড়ার কান্দিকাল গেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি মেয়েকে উদ্ধার করার পরে তেলেঙ্গানা পুলিশ চাত্রিনাকা থানায় মূল মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল। বেসরকারি  সংস্থা প্রজওয়ালার সুনিথা কৃষ্ণান  জানিয়েছেন, এটিই প্রথম মানব পাচারের মামলা ছিল এনআইএ-এর হাতে। যেহেতু এটি ভারতের এখতিয়ার রয়েছে, তাই  তারা এই নেটওয়ার্কের শিকড়ের কাছে যেতে পারে, যা বাংলাদেশে  এবং এটিকে শেষ  করতে পারে। ভুক্তভোগীরা ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পরবর্তীকালে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ থেকে কত নারী প্রতিবছর পাচার হয় সে বিষয়ে সরকারিভাবে খুব বেশি তথ্য সে দেশে  নেই। তবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৮টি রুট দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার নারী, শিশু ও কিশোরী প্রতিবেশী  দেশে  পাচার হচ্ছে। সে দেশে সরকার বদল হয় ,কিন্তু নারী পাচার বন্ধ হয়না বলে পর্যবেক্ষকমহলের মনে করে।

Tag :

রিপোর্টার

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হায়দরাবাদে ৬ বাংলাদেশি পাচারকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

হায়দরাবাদ, ৯ নভেম্বর: হায়দরাবাদের ছাত্রিনাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারের চক্রের পর্দা ফাঁস হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পরদুই মহিলাসহ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করেছে নামপালির একটি দায়রা আদালত। আদালত ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৯  সালে, শহর-ভিত্তিক এনজিও প্রজওয়ালা  দুই বাংলাদেশী মহিলাকে উদ্ধার করেছিল। তাদের দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে, তেলেঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে  জাতীয় তদন্ত সংস্থা চাত্রিনাকায় তল্লাশি চালায় এবং র্যাকেটের পিছনে থাকা তিন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। এনআইএ-র দায়ের করা একটি অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আদালত বিচার পরিচালনা করার পরে ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত কর।  তাদের নাম  মোহাম্মদ ইউসুফ খান, বিথি বেগম, সোজিব, রুহুল আমিন ঢালী, খোনলা জাস্টিন এবং শিবলি খাতুন।

Read More: আমেরিকায় গিয়ে জো নেশানহুডের ডাক দিয়ে বিতর্কে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী

আইপিসির ধারা ৩৭০ (ব্যক্তি পাচার) অভিযোগে ছয়জন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনৈতিক পাচার প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘনসহ অন্যান্য অভিযোগেও তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকেই তারা বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে ছিলেন। এনআইএ তদন্তে জানা গেছেঅভিযুক্তরা ভাল বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশি মেয়েদের প্রলুব্ধ করেছিল এবং তাদের ভারতে পাচার করেছিল, যেখানে তাদের পরে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

২০১৯  সালের আগস্টে একটি অভিযানের সময় হায়দরাবাদের উপ্পুগুড়ার কান্দিকাল গেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি মেয়েকে উদ্ধার করার পরে তেলেঙ্গানা পুলিশ চাত্রিনাকা থানায় মূল মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল। বেসরকারি  সংস্থা প্রজওয়ালার সুনিথা কৃষ্ণান  জানিয়েছেন, এটিই প্রথম মানব পাচারের মামলা ছিল এনআইএ-এর হাতে। যেহেতু এটি ভারতের এখতিয়ার রয়েছে, তাই  তারা এই নেটওয়ার্কের শিকড়ের কাছে যেতে পারে, যা বাংলাদেশে  এবং এটিকে শেষ  করতে পারে। ভুক্তভোগীরা ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পরবর্তীকালে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ থেকে কত নারী প্রতিবছর পাচার হয় সে বিষয়ে সরকারিভাবে খুব বেশি তথ্য সে দেশে  নেই। তবে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১৮টি রুট দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার নারী, শিশু ও কিশোরী প্রতিবেশী  দেশে  পাচার হচ্ছে। সে দেশে সরকার বদল হয় ,কিন্তু নারী পাচার বন্ধ হয়না বলে পর্যবেক্ষকমহলের মনে করে।