২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রসংঘে মানবাধিকার কাউন্সিলে   উইঘুর মুসলিমদের ওপর চিনের অত্যাচার প্রসঙ্গে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
  • / 83

 

 

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের  মানবাধিকার কাউন্সিলে  বৃহস্পতিবার একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত।

 

চিনের সিনজিয়াং প্রদেশে  উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি লঙ্ঘন এবং উদ্ভূত  বিতর্ক নিয়ে খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে  ভোট দেয় ১৭ সদস্য দেশ। চিন সহ বিপক্ষে ভোট দেয় ১৯ সদস্য দেশ  ।  মোট ৪৭ টি দেশের মধ্যে ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইউক্রেন সহ মোট ১১ টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চিনের পরিচালক সোফি রিচার্ডসন এক বিবৃতিতে বলেছেন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ  মানবাধিকার সংস্থা চিনের সিনজিয়াং  অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের একটি প্রস্তাব বিবেচনা করেছে।

রিচার্ডসন  আরও বলেন প্রস্তাবটি বিবেচিত না হলেও উইঘুরদের বিরুদ্ধে চিনের যে নৃসংশ অত্যাচার হয়েছে  তার দাগকে কোনদিনই মুছে ফেলা যাবেনা। রাষ্ট্রসংঘের  মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটও একই মতামত পোষণ করেছেন।

২০১৭ সালের শেষের দিক থেকে উইঘুর এবং চিনের অন্যান্য প্রধানত মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগগুলি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার   বিভাগের নজরে আনা হয়েছিল।

চিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উইঘুর মুসলিমদের ট্রেনিংয়ের নামে পরিবার ও সুস্থজীবন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের ধর্মীয় সত্তা ও পরিচয় সম্পূর্ণ মুছে ফেলার জন্য। খোলা জেলখানায়  থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘে বারবার দাবি উঠেছে উইঘুরদের অবস্থা দেখার জন্য একটি টিম পাঠানো হোক। কিন্তু বারবার আপত্তি জানিয়েছে চিন। চিন কূটনীতিক প্রভাব খাটিয়ে বহু মুসলিম দেশকেও এবার  প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেছে।

রাষ্ট্রসংঘে আজকে চিনের কূটনৈতিক সাফল্য অপরদিকে বড় পরাজয় মানবাধিকার সংস্থাগুলির যারা  দীর্ঘদিন থেকে উইঘুরদের  উপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছে। এমনকি উইঘুর গণহত্যা নিয়েও রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিভাগকেও প্রস্তাব গ্রহণ করতে  সফল হয়েছিল। কিন্তু চিনের কাছ থেকে আর্থিক মদত নেওয়া দেশগুলি রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরোধীতা করার সাহস দেখাল না।চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব না থাকলেও কিন্তু ভারত চিনের বিপক্ষে প্রস্তাবে সায় দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অংশগ্রহনই করলোনা ।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাষ্ট্রসংঘে মানবাধিকার কাউন্সিলে   উইঘুর মুসলিমদের ওপর চিনের অত্যাচার প্রসঙ্গে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত

আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার

 

 

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের  মানবাধিকার কাউন্সিলে  বৃহস্পতিবার একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত।

 

চিনের সিনজিয়াং প্রদেশে  উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি লঙ্ঘন এবং উদ্ভূত  বিতর্ক নিয়ে খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে  ভোট দেয় ১৭ সদস্য দেশ। চিন সহ বিপক্ষে ভোট দেয় ১৯ সদস্য দেশ  ।  মোট ৪৭ টি দেশের মধ্যে ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইউক্রেন সহ মোট ১১ টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চিনের পরিচালক সোফি রিচার্ডসন এক বিবৃতিতে বলেছেন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ  মানবাধিকার সংস্থা চিনের সিনজিয়াং  অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের একটি প্রস্তাব বিবেচনা করেছে।

রিচার্ডসন  আরও বলেন প্রস্তাবটি বিবেচিত না হলেও উইঘুরদের বিরুদ্ধে চিনের যে নৃসংশ অত্যাচার হয়েছে  তার দাগকে কোনদিনই মুছে ফেলা যাবেনা। রাষ্ট্রসংঘের  মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটও একই মতামত পোষণ করেছেন।

২০১৭ সালের শেষের দিক থেকে উইঘুর এবং চিনের অন্যান্য প্রধানত মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগগুলি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার   বিভাগের নজরে আনা হয়েছিল।

চিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উইঘুর মুসলিমদের ট্রেনিংয়ের নামে পরিবার ও সুস্থজীবন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের ধর্মীয় সত্তা ও পরিচয় সম্পূর্ণ মুছে ফেলার জন্য। খোলা জেলখানায়  থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘে বারবার দাবি উঠেছে উইঘুরদের অবস্থা দেখার জন্য একটি টিম পাঠানো হোক। কিন্তু বারবার আপত্তি জানিয়েছে চিন। চিন কূটনীতিক প্রভাব খাটিয়ে বহু মুসলিম দেশকেও এবার  প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেছে।

রাষ্ট্রসংঘে আজকে চিনের কূটনৈতিক সাফল্য অপরদিকে বড় পরাজয় মানবাধিকার সংস্থাগুলির যারা  দীর্ঘদিন থেকে উইঘুরদের  উপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছে। এমনকি উইঘুর গণহত্যা নিয়েও রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিভাগকেও প্রস্তাব গ্রহণ করতে  সফল হয়েছিল। কিন্তু চিনের কাছ থেকে আর্থিক মদত নেওয়া দেশগুলি রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরোধীতা করার সাহস দেখাল না।চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব না থাকলেও কিন্তু ভারত চিনের বিপক্ষে প্রস্তাবে সায় দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অংশগ্রহনই করলোনা ।