২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করল দখলদার ইসরাইল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 27

গাজা, ১০ মার্চঃ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিল ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করার প্রস্তুতির মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিল তারা। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়েছে ইসরাইল। ওই মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করার জন্য হামাসকে চাপে রাখছে ইসরাইল। প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গাজায় প্রয়োজনীয় পণ্য বা ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইসরাইল প্রশাসন। এ বার গাজায় বিদ্যুৎ পাঠানোও বন্ধ করল তারা।

রবিবার ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন অবিলম্বে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। আল জাজিরা জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে কোহেন বলেছেন, তিনি গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘অবিলম্বে বন্ধ করার’ একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, তকথা অনেক হয়েছে, এখন সময় পদক্ষেপ নেওয়ার! গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিসরের উদ্যোগে ইসরাইল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়।

 

আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন হলদিয়ার বিধায়ক

 

ইসরাইল চায় প্রথম দফার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হোক। অন্যদিকে, হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে।যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে এখনও কোনও পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়নি। যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে হামাস এবং ইসরাইল একে অপরের বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। তবে নেতানিয়াহুর প্রশাসন চাইছে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলিদের অন্তত অর্ধেককে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তা নিয়ে ক্রমশ হামাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে তারা। প্রথমে ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করা এবং এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার নেপথ্যেও হামাসের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে দখলদার ইসরাইল।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করল দখলদার ইসরাইল

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৫, সোমবার

গাজা, ১০ মার্চঃ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিল ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করার প্রস্তুতির মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিল তারা। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়েছে ইসরাইল। ওই মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করার জন্য হামাসকে চাপে রাখছে ইসরাইল। প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গাজায় প্রয়োজনীয় পণ্য বা ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইসরাইল প্রশাসন। এ বার গাজায় বিদ্যুৎ পাঠানোও বন্ধ করল তারা।

রবিবার ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন অবিলম্বে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। আল জাজিরা জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে কোহেন বলেছেন, তিনি গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘অবিলম্বে বন্ধ করার’ একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, তকথা অনেক হয়েছে, এখন সময় পদক্ষেপ নেওয়ার! গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিসরের উদ্যোগে ইসরাইল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়।

 

আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন হলদিয়ার বিধায়ক

 

ইসরাইল চায় প্রথম দফার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হোক। অন্যদিকে, হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে।যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে এখনও কোনও পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়নি। যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে হামাস এবং ইসরাইল একে অপরের বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে। তবে নেতানিয়াহুর প্রশাসন চাইছে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলিদের অন্তত অর্ধেককে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তা নিয়ে ক্রমশ হামাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে তারা। প্রথমে ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করা এবং এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার নেপথ্যেও হামাসের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে দখলদার ইসরাইল।