সাংবাদিক মুশফিকুলকে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ঢাকার, ‘ভারত বিরোধী’ বলে প্রচার বিজেপির আইটি সেলের

- আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার
- / 6
নয়াদিল্লি, ২২ অক্টোবরঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করতেই তাঁকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূত পদটি সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার। সোমবার মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ তিন বছর। এই পদে থাকাকালীন তিনি অন্য কোনও পেশায় যুক্ত থাকতে পারবেন না। বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে থেকেই কাজ করবেন মুশফিকুল ফজল আনসারী।
এদিকে মুশফিকুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের পর সামাজিক মাধ্যমে সুর চড়িয়েছে বিজেপির আইটি সেল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি যোগ সহ প্রবল ভারত বিরোধী বলে কটাক্ষ ছুড়েছে গেরুয়া শিবির। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভারত বিরোধী মনোভাব পোষণ করছে মুহাম্মদ ইউনূস। এরই মধ্যে মুশফিকুলের নিয়োগ একই ইকোসিস্টেমের অংশ বলে সুর চড়িয়েছে আইটি সেল।
Read More: ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্কে সুন্দরবন বাসিন্দারা, প্রস্তুত প্রশাসন
এক এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজলকে মনে আছে? বিশেষ করে মার্কিন প্রেস ব্রিফিংয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ভারত নিয়ে প্রশ্ন করতেন তিনি। বর্তমানে জর্জ সরোসের মিত্র হিসেবে তাকে বাংলাদেশের বিশেষ দূত হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তারা সবাই একই ইকোসিস্টেমের অংশ, ইন্টারনেটকে ধন্যবাদ, তারা আর এটি লুকাতে পারছে না, বরং তা প্রকাশ্যে আসছে।”
মুশফিকুল আনসারীর এই পদোন্নতিকে কৌতূহলজনক বলে একজন লিখেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাহুল গান্ধির সঙ্গে তাঁর ঘন ঘন বৈঠক এই সংলাপকে আরও বাড়িয়ে তোলে।” কেউ কেউ বলছে, “এই ইকোসিস্টেম ব্রেক ইন্ডিয়া ফোর্সে পরিণত হয়েছে। তারা কঠোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা সফল হবে না।”
Read More: ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাক্তন মুখপাত্র ছিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। ২০২২ সালে হাসিনা সরকারের আমলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছিল মুশফিকুলের বিরুদ্ধে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ তাঁকে ‘পলাতক’ হিসেবেও চিহ্নিত করেছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে তৎকালীন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্ন করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিক। যদিও তাঁর এই প্রশ্ন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসাবে দেখেছিল নয়াদিল্লি।