১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে নাইটহুড সম্মান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 1

লন্ডন, ২ জানুয়ারি:  ব্রিটেনের সম্মানসূচক ‘নাইট’ বা ‘স্যার’ উপাধি পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। নতুন বছরের জন্য প্রকাশিত সম্মানসূচক এই তালিকায় আরও আছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন ফ্রাই, ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এ ছাড়া ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা এমিলি থর্নবেরি ডেম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। গত মে মাসে সাদিক খান তৃতীয় মেয়াদে লন্ডন সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।

 

নাইটহুড পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাদিক খান বলেন, তিনি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত মর্যাদা বোধ করছেন। দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড় হওয়া অবস্থায় আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন আমি লন্ডনের মেয়র হব। এই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি লন্ডনের সব সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং আরও সমৃদ্ধ একটি শহর গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।

দক্ষিণ লন্ডনের টুটিংয়ে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যার সাদিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বাসচালক। ২০০৫ সালে নিজের শহর থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন।

 

গর্ডন ব্রাউনের আমলে তিনি জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন এবং পরে এড মিলিব্যান্ডের অধীনে ছায়া সরকারে বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাদিক খান ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে পশ্চিমের উন্নত বিশ্বের কোনো দেশের বড় শহরের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

Tag :

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে নাইটহুড সম্মান

পুবের কলম
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 1

লন্ডন, ২ জানুয়ারি:  ব্রিটেনের সম্মানসূচক ‘নাইট’ বা ‘স্যার’ উপাধি পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। নতুন বছরের জন্য প্রকাশিত সম্মানসূচক এই তালিকায় আরও আছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন ফ্রাই, ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এ ছাড়া ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা এমিলি থর্নবেরি ডেম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। গত মে মাসে সাদিক খান তৃতীয় মেয়াদে লন্ডন সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।

 

নাইটহুড পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাদিক খান বলেন, তিনি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত মর্যাদা বোধ করছেন। দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড় হওয়া অবস্থায় আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন আমি লন্ডনের মেয়র হব। এই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি লন্ডনের সব সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং আরও সমৃদ্ধ একটি শহর গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।

দক্ষিণ লন্ডনের টুটিংয়ে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যার সাদিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বাসচালক। ২০০৫ সালে নিজের শহর থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন।

 

গর্ডন ব্রাউনের আমলে তিনি জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন এবং পরে এড মিলিব্যান্ডের অধীনে ছায়া সরকারে বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাদিক খান ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে পশ্চিমের উন্নত বিশ্বের কোনো দেশের বড় শহরের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে নাইটহুড সম্মান

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

লন্ডন, ২ জানুয়ারি:  ব্রিটেনের সম্মানসূচক ‘নাইট’ বা ‘স্যার’ উপাধি পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। নতুন বছরের জন্য প্রকাশিত সম্মানসূচক এই তালিকায় আরও আছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন ফ্রাই, ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এ ছাড়া ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা এমিলি থর্নবেরি ডেম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। গত মে মাসে সাদিক খান তৃতীয় মেয়াদে লন্ডন সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।

 

নাইটহুড পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাদিক খান বলেন, তিনি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত মর্যাদা বোধ করছেন। দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড় হওয়া অবস্থায় আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন আমি লন্ডনের মেয়র হব। এই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি লন্ডনের সব সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং আরও সমৃদ্ধ একটি শহর গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।

দক্ষিণ লন্ডনের টুটিংয়ে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যার সাদিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বাসচালক। ২০০৫ সালে নিজের শহর থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন।

 

গর্ডন ব্রাউনের আমলে তিনি জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন এবং পরে এড মিলিব্যান্ডের অধীনে ছায়া সরকারে বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাদিক খান ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে পশ্চিমের উন্নত বিশ্বের কোনো দেশের বড় শহরের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে নাইটহুড সম্মান

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

লন্ডন, ২ জানুয়ারি:  ব্রিটেনের সম্মানসূচক ‘নাইট’ বা ‘স্যার’ উপাধি পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। নতুন বছরের জন্য প্রকাশিত সম্মানসূচক এই তালিকায় আরও আছেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক স্টিফেন ফ্রাই, ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এ ছাড়া ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা এমিলি থর্নবেরি ডেম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। গত মে মাসে সাদিক খান তৃতীয় মেয়াদে লন্ডন সিটি মেয়র নির্বাচিত হন।

 

নাইটহুড পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাদিক খান বলেন, তিনি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত মর্যাদা বোধ করছেন। দক্ষিণ লন্ডনের একটি কাউন্সিল এস্টেটে বড় হওয়া অবস্থায় আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে একদিন আমি লন্ডনের মেয়র হব। এই শহরের সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। আমি লন্ডনের সব সম্প্রদায়ের জন্য ন্যায্য, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং আরও সমৃদ্ধ একটি শহর গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাব।

দক্ষিণ লন্ডনের টুটিংয়ে পাকিস্তানি পরিবারে জন্ম নেওয়া স্যার সাদিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন বাসচালক। ২০০৫ সালে নিজের শহর থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন।

 

গর্ডন ব্রাউনের আমলে তিনি জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন এবং পরে এড মিলিব্যান্ডের অধীনে ছায়া সরকারে বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাদিক খান ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে বরিস জনসনের উত্তরসূরি হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম মুসলিম হিসেবে পশ্চিমের উন্নত বিশ্বের কোনো দেশের বড় শহরের প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।