কীভাবে চক্রান্ত করা হয়েছে,তা ফাঁস করে দেব
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে Murshidabad যাচ্ছেন মমতা

- আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 114
মে মাসের প্রথম সপ্তাহে Murshidabad যাচ্ছেন মমতা
পুবের কলম প্রতিবেদক: ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত Murshidabad । ধুলিয়ান-সহ একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যকে সেনা পর্যন্ত নামাতে হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেও, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন; কেন এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজে অশান্তি কবলিত এলাকায় যাচ্ছেন না?
অবশেষে সেই জল্পনার অবসান। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, তিনি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে Murshidabad যাচ্ছেন। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবার, ঘরছাড়া মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
♦ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি ওয়ার্ডে অশান্তি হয়েছে। আমরা দাঙ্গা চাই না। ধুলিয়ানে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বহিরাগতদের ভূমিকা রয়েছে। কিছু স্থানীয় লোককে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে এই চক্রান্ত করা হয়েছে, আমরা তা ফাঁস করে দেব।’
তিনি স্পষ্ট করে জানান, ‘যারা মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা এমপিরা বলেছেন, সরকারও সে দায়িত্ব নিতে পারে। যাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে, তাঁদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। যাঁদের দোকান লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে সার্ভে চলছে।’
বিরোধীদের কটাক্ষ করলেও কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘আমি এখনই যাচ্ছি না, কারণ আমি চাই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হোক। মানুষের আস্থা ফিরুক, তারপর আমি যাব।’ সেই সঙ্গে রাজ্যপালকেও ঘটনাস্থলে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন যদিও রাজ্যপাল সে কথা শোনেননি। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি নিজে মুর্শিদাবাদ যাব এবং সব ব্যবস্থা করে দিয়ে আসব। এইটুকু ভরসা আপনারা করতে পারেন, নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।’
বিগত কয়েকদিন ধরেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে অশান্তি হয়েছে, সেখানে নিজে উপস্থিত না থেকে দায়িত্ব এড়াচ্ছেন। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি শান্তি ও সংহতির বার্তা দিয়েই পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রশাসন যে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন মমতা।
রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এলাকা চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের কাজ আরও জোরদার করা হবে। বাড়ি নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চায় রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের উপস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কর্তব্য। আমি দাঙ্গা চাই না। শান্তিই হোক বাংলার পথ।’