জম্মু-কাশ্মীরে গৃহবন্দি মিরওয়াজ ওমর ফারুক, পড়তে দেওয়া হয়নি নামাজ

- আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার
- / 93
পুর্বের কলম, ওয়েবডেস্ক: ওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতা মিরওয়াজ ওমর ফারুককে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঈদে নামাজ পড়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। সোমবার তিনি জানান, তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে এবং জামা মসজিদ ও ঈদগ্বাহে ঈদের নামাজের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি এক্স হ্যান্ডবলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “আমি গভীরভাবে ব্যথিত। ঈদের নামাজ পড়ার মৌলিক অধিকার আবারও অস্বীকার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নামাজ পড়তে দেওয়া হয়নি এবং আমাকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “১৯৯০ সালে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ তুঙ্গে। তখনও ঈদের নামাজ পড়া যেত। বর্তমানে পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ বলে দাবি করা হলেও তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। কেন মুসলিমদের ধর্মীয় স্থান এবং আচার-অনুষ্ঠান থেকে দূরে রাখা হচ্ছে? এজেন্ডা কী? কাশ্মীরি মুসলমানরা কি শাসকদের ভীতির কারণ?”
তিনি উল্লেখ করেছেন, ” ঈদগ্বাহ এবং জামা মসজিদ জনগণের। ঈদের দিনে এই পবিত্র স্থানগুলিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা নিপীড়নমূলক এবং কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের প্রতিফলন।”
দেশদ্রোহিতার জন্য ‘ওয়ামি অ্যাকশন কমিটি’কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে চিহ্নিত করা হয়। যুবকদের পাথর ছোড়ার ক্ষেত্রে এই সংগঠন মদত দিত বলে অভিযোগ তোলা হয়।
১৯৬৩ সালে মিরওয়াজ মওলানা মহম্মদ ফারুক ওয়ামি অ্যাকশন কমিটি তৈরি করেন। মিরওয়াজ খুন হওয়ার পর, ওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে আসেন তাঁর ছেলে মিরওয়াজ ওমর ফারুক। ১৯৯০ সালে মিরওয়াজ মওলানা মহম্মদ ফারুককে তাঁর নিজের বাড়িতে সন্ত্রাসবাদীরা খুন করে। মৌলবী মাসরুর আব্বাস আনসারীর নেতৃত্বাধীন শিয়া মুসলিম সংগঠন ইত্তেহাদুল মুসলিমীনকেও নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মৌলবী আব্বাস আনসারীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই সংগঠনটি বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের একটি অংশ বলে মনে করা হয়। প্রয়াত আব্বাস আনসারী তিন বছর হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।