০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঔরঙ্গজেবের সমাধি রক্ষা করার আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘকে চিঠি মুঘল বংশধর ইয়াকুব হাবিবুদ্দিনের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 83

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আওরঙ্গজেবকে নিয়ে বিতর্ক এতদিন পর্যন্ত দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে (UN) পৌঁছল।  আওরঙ্গজেবের একজন বংশধর সমাধির নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠি লিখেছেন। বর্তমানে, আওরঙ্গজেবের সমাধিটি ১৯৫৮ সালের প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান  আইনের অধীনে সুরক্ষিত। যা ASI দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। জানা যায়, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবরের নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে  রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন আওরঙ্গজেব এর বংশধর ইয়াকুব হাবিবুদ্দিন। তাঁর আর্জি, এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিক রাষ্ট্রসংঘ। মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর (পূর্ব ঔরঙ্গাবাদ) জেলার কুলদাবাদে অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্যের নবাব ঔরঙ্গজেবের কবর। এই কবরকে সরানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। সম্প্রতি এই ইস্যুতে হিংসায় উত্তাল হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহর। এই পরিস্থিতিতে  ইয়াকুব বলেন, ওই সমাধি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে আগেই।  যার ফলে ওই স্মতিস্তম্ভ বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে কোনও নির্মাণ, পরিবর্তন, ধ্বংস বা খনন অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

এই আইনের কথা স্মরণ করিয়ে রাষ্ট্রসংঘকে লেখা চিঠিতে ইয়াকুব জানিয়েছেন, ওই কবরস্থানে যাতে কোনওরকম হামলার ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তাবাহিনী মতায়েনের ব্যবস্থা করা হোক।অন্যদিকে চিঠিতে ১৯৭২ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত ইউনেস্কো কনভেনশনে ভারতের স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, “এই ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস, অবহেলা বা বেআইনি পরিবর্তনের যে কোনো কাজ আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।” সিনেমা, সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় এই ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে ভুল উপস্থাপনার কারণে জনমানসে ভুল ধারনা তৈরি হচ্ছে। যার ফলে অযথা প্রতিবাদ, ঘৃণা ছড়ানো ও কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি “ছাভা” ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর আওরঙ্গজেব সম্পর্কিত বিষয়টি আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে বিষয়টি আরও বাড়তে থাকে। মহারাষ্ট্রের জনগণের পাশাপাশি সরকারের অনেক মন্ত্রীও আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার ASI নিয়মের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে UPA সরকারের সময় সমাধির নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: গাজা দখলের নয়া ছক ইসরাইলের, উদ্বেগ রাষ্ট্রসংঘের

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ৫৩ বিলিয়ন ডলার: রাষ্ট্রসংঘ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঔরঙ্গজেবের সমাধি রক্ষা করার আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘকে চিঠি মুঘল বংশধর ইয়াকুব হাবিবুদ্দিনের

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আওরঙ্গজেবকে নিয়ে বিতর্ক এতদিন পর্যন্ত দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে (UN) পৌঁছল।  আওরঙ্গজেবের একজন বংশধর সমাধির নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠি লিখেছেন। বর্তমানে, আওরঙ্গজেবের সমাধিটি ১৯৫৮ সালের প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান  আইনের অধীনে সুরক্ষিত। যা ASI দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। জানা যায়, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কবরের নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে  রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন আওরঙ্গজেব এর বংশধর ইয়াকুব হাবিবুদ্দিন। তাঁর আর্জি, এই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিক রাষ্ট্রসংঘ। মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর (পূর্ব ঔরঙ্গাবাদ) জেলার কুলদাবাদে অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্যের নবাব ঔরঙ্গজেবের কবর। এই কবরকে সরানোর দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। সম্প্রতি এই ইস্যুতে হিংসায় উত্তাল হয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহর। এই পরিস্থিতিতে  ইয়াকুব বলেন, ওই সমাধি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে আগেই।  যার ফলে ওই স্মতিস্তম্ভ বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে কোনও নির্মাণ, পরিবর্তন, ধ্বংস বা খনন অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

এই আইনের কথা স্মরণ করিয়ে রাষ্ট্রসংঘকে লেখা চিঠিতে ইয়াকুব জানিয়েছেন, ওই কবরস্থানে যাতে কোনওরকম হামলার ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তাবাহিনী মতায়েনের ব্যবস্থা করা হোক।অন্যদিকে চিঠিতে ১৯৭২ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত ইউনেস্কো কনভেনশনে ভারতের স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, “এই ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস, অবহেলা বা বেআইনি পরিবর্তনের যে কোনো কাজ আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।” সিনেমা, সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় এই ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে ভুল উপস্থাপনার কারণে জনমানসে ভুল ধারনা তৈরি হচ্ছে। যার ফলে অযথা প্রতিবাদ, ঘৃণা ছড়ানো ও কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি “ছাভা” ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর আওরঙ্গজেব সম্পর্কিত বিষয়টি আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে বিষয়টি আরও বাড়তে থাকে। মহারাষ্ট্রের জনগণের পাশাপাশি সরকারের অনেক মন্ত্রীও আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার ASI নিয়মের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে UPA সরকারের সময় সমাধির নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: গাজা দখলের নয়া ছক ইসরাইলের, উদ্বেগ রাষ্ট্রসংঘের

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ৫৩ বিলিয়ন ডলার: রাষ্ট্রসংঘ