৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ানমারের ভূমিকম্পে ভেঙেছে একাধিক বহুতল, নিখোঁজ বহু

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 165

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মায়ানমারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল। নিখোঁজ হয়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে ভেঙে পড়েছে বহু নির্মীয়মাণ বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। থাইল্যান্ড প্রশাসন জানিয়েছে, “ভূমিকম্পের ফলে ব্যাংককে একটি অসমাপ্ত ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে কর্মরত ৪৩ জন নির্মাণ শ্রমিক আটকে পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

এদিকে মায়ানমারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েকশো মাইল দূরে চাতুচাক পার্কের কাছে একটি ভবনের ভিতরে পঞ্চাশ জন আটকে ছিলেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন জানিয়েছে, “সাতজন পালিয়ে গেছেন এবং আরও ৪৩ জন আটকে পড়েছেন।” পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “আমি যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাই, তখন লোকজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। তাঁরা বলছে আমাকে সাহায্য করুন।”

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার, কম্পন অনুভূত কলকাতা-বাংলাদেশে

মার্কিন ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা-সহ বাংলাদেশেও। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল মায়ানমারের মান্দালয় থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। কম্পনের উৎপত্তিস্থলটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে। ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমালে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। তবে উত্তর থাইল্যান্ডে ট্রেন এবং মেট্রো পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। মান্দালয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে খবর।

মায়ানমারের দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করার জন্য ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান শুরু করেছি। ঘুরে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।”

মান্দালয়ের সোশাল মিডিয়ার পোস্টে ধসে পড়া ভবন এবং রাস্তায় ধ্বংসাবশেষের ছবি দেখা গেছে। সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি পুবের কলম। ইয়াঙ্গুনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “দেশের বৃহত্তম শহরের ভবনগুলো থেকে অনেকেই দৌড়ে বেরিয়ে পড়ছেন।” ব্যাংককের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। তাঁদের অনেকেই সাঁতারের পোশাক পরা হোটেলের অতিথি।” অন্যরা জানিয়েছেন, “মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন এবং সুইমিং পুল থেকে জল ছড়িয়ে পড়েছে।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মায়ানমারের ভূমিকম্পে ভেঙেছে একাধিক বহুতল, নিখোঁজ বহু

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মায়ানমারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল। নিখোঁজ হয়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে ভেঙে পড়েছে বহু নির্মীয়মাণ বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। থাইল্যান্ড প্রশাসন জানিয়েছে, “ভূমিকম্পের ফলে ব্যাংককে একটি অসমাপ্ত ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে কর্মরত ৪৩ জন নির্মাণ শ্রমিক আটকে পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

এদিকে মায়ানমারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েকশো মাইল দূরে চাতুচাক পার্কের কাছে একটি ভবনের ভিতরে পঞ্চাশ জন আটকে ছিলেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন জানিয়েছে, “সাতজন পালিয়ে গেছেন এবং আরও ৪৩ জন আটকে পড়েছেন।” পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ৪৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “আমি যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাই, তখন লোকজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। তাঁরা বলছে আমাকে সাহায্য করুন।”

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার, কম্পন অনুভূত কলকাতা-বাংলাদেশে

মার্কিন ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা-সহ বাংলাদেশেও। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল মায়ানমারের মান্দালয় থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। কম্পনের উৎপত্তিস্থলটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে। ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমালে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। তবে উত্তর থাইল্যান্ডে ট্রেন এবং মেট্রো পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। মান্দালয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে খবর।

মায়ানমারের দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করার জন্য ইয়াঙ্গুনে অনুসন্ধান শুরু করেছি। ঘুরে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।”

মান্দালয়ের সোশাল মিডিয়ার পোস্টে ধসে পড়া ভবন এবং রাস্তায় ধ্বংসাবশেষের ছবি দেখা গেছে। সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি পুবের কলম। ইয়াঙ্গুনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “দেশের বৃহত্তম শহরের ভবনগুলো থেকে অনেকেই দৌড়ে বেরিয়ে পড়ছেন।” ব্যাংককের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। তাঁদের অনেকেই সাঁতারের পোশাক পরা হোটেলের অতিথি।” অন্যরা জানিয়েছেন, “মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন এবং সুইমিং পুল থেকে জল ছড়িয়ে পড়েছে।”