নয়া আয়কর বিলে করদাতাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা
- আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার
- / 1

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ নয়া আয়কর বিল ২০২৫-এ করদাতাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই বিল অনুযায়ী, আয়কর অফিসাররা কর ফাঁকির সন্দেহ হলে করদাতাদের ব্যক্তিগত ডিজিটাল স্পেসের অ্যাক্সেস নিতে পারবেন। অনুমতি ছাড়াই ই-মেল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য ফিনান্সিয়াল প্ল্যাটফর্ম অ্যাক্সেস করতে পারবে।
এ বছর কেন্দ্রীয় বাজেটের দিনই নতুন আয়কর বিল আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ইতিমধ্যে সংসদে পেশ করা হয়েছে ইনকাম ট্যাক্স বিল ২০২৫। আলোচনার জন্য তা সিলেক্ট কমিটিতেও পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, সুস্পষ্ট ও সরল আয়কর কাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যেই নতুন বিল আনা হয়েছে। যদিও নতুন বিল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কাটাছেঁড়া এখনও জারি রয়েছে। তা করতে গিয়েই আয়কর অফিসারদের ব্যক্তিগত ডিজিটাল স্পেসে নজরদারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে তুলে ধরেছেন বিশ্লেষকরা। নতুন আয়কর বিলের ২৪৭ নম্বর ক্লজে আয়কর অফিসারদের এই বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আয়কর দফতরের অফিসারদের যদি মনে হয়, কোনও ব্যক্তি কর ফাঁকি দিচ্ছেন বা নিজের সম্পত্তি গোপন করছেন, তাহলে বর্তমান আইন অনুযায়ী, আয়কর অফিসাররা ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভস, ই-মেলের অ্যাক্সেস চাইতে পারেন। কিন্তু এ নিয়ে পুরোনো আইনে ডিজিটাল রেকর্ডের বিষয়টি নিয়ে সুস্পষ্ঠ কিছু বলা নেই। এর জেরে অনেক ক্ষেত্রেই আইনি জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু নতুন বিলে ‘ভার্চুয়াল ডিজিটাল স্পেস’ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। নতুন বিল অনুযায়ী, কোনও আয়কর অফিসার যদি আপনার ডিজিটাল অ্যাসেটের অ্যাক্সেস চায় এবং কোনও করদাতা যদি তা দিয়ে অস্বীকার করেন, তখন আয়কর অফিসাররা ঘুর পথে তা অ্যাক্সেস করতে পারবেন। অর্থাৎ পাসওয়ার্ডের জাল এড়িয়ে, সিকিউরিটি ব্রেক করেই আপনার ডিজিটাল স্পেসের অ্যাক্সেস নিতে পারবেন আয়কর অফিসাররা।
আয়কর আইনের এই নতুন প্রভিসন আইনের অপব্যবহার সংক্রান্ত উদ্বেগ তৈরি করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেফগার্ড ছাড়া এই ক্ষমতা অযথা হেনস্থার মুখে ফেলতে পারে করদাতাদের। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিসরেও তা আঘাত হানতে পারে। এ বিষয়ে বিশ্বাস পাঞ্জিয়ার নামের বাজার বিশেষজ্ঞ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘১৯৬১ সালের আয়কর আইনে ডিজিটাল ডোমোনের উল্লেখ সুস্পষ্ট ভাবে নেই। যথাযথ সেফগার্ড না থাকলে নতুন আয়কর বিলের এই ক্ষমতার অপব্যবহার করদাতাদের হেনস্থার মুখে ফেলতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’