২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন নববিবাহিত স্ত্রীর, ফের যোগী রাজ্যে নৃশংসতা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 100

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের খুন যোগী রাজ্যে। মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানেই আবারও স্ত্রীর হাতে খুন হলেন স্বামী। মীরাটের সৌরভ রাজুপুতকে খুনের ঘটনায় গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। স্ত্রী মুসকান এবং তাঁর প্রেমিক সৌরভ শুক্ল মিলে সৌরভকে খুন করে টুকরো টুকরো করে। এই ঘটনায় দেশবাসী শিউরে উঠেছিল। আবার সেই উত্তরপ্রদেশেই স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল নববিবাহিত স্ত্রীর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী জেলায় বিয়ের মাত্রা দু’সপ্তাহের মাথায় কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী।

আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মাংসের দোকান বন্ধের দাবি বিজেপির, বিরোধিতায় ন্যাশনাল কনফারেন্স

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রগতি যাদবের সঙ্গে তারই গ্রামের ছেলে অনুরাগ যাদবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৫ মার্চ দিলীপ যাদব নামে এক যুবকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় প্রগতির। বিয়ের পর প্রেমিক অনুরাগের সঙ্গে মিলে প্রগতি স্বামী দিলীপকে খুনের ষড়যন্ত্র করে। পুলিশি জেরায় অনুরাগ জানিয়েছে, “দিলীপ ধনী পরিবারের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর পর দু’জনে একসঙ্গে থাকব বলে ঠিক করেছিলাম।” প্রগতি অনুরাগকে এক লক্ষ টাকা দেয়। এরপর দিলীপকে খুনের জন্য অনুরাগ রামজি নগর নামে এক কন্ট্রক্ট কিলারকে দুই লক্ষ টাকা দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ যাদব কনৌজ জেলায় কাজে গিয়েছিলেন। ১৯ মার্চ সেখান থেকে ফিরছিলেন। পাটনা খালের কাছে রাস্তার ধারের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। মোটরসাইকেলে করে আসা দু’জন লোক দিলীপকে বাইকে তুলে নিয়ে যায় এবং গুলি করে। গুলি করার পর গমের খেতে দেহ ফেলে দেয় তারা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দিলীপকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দিলীপ যাদব মারা যান।

পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিলীপকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে ফুটেজে। কন্ট্রাক্ট কিলার রামজি নাগরের পরিচয়ও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপরেই রামজি এবং অনুরাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছে রামজি এবং অনুরাগ। গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে প্রগতিকে মনে করা হচ্ছে। একটি দেশি পিস্তল এবং তাজা কার্তুজ অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রগতিকেও পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তিন অভিযুক্তকেই আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং জেল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ঊধ্বর্তন পুলিশ কর্তা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন নববিবাহিত স্ত্রীর, ফের যোগী রাজ্যে নৃশংসতা

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের খুন যোগী রাজ্যে। মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানেই আবারও স্ত্রীর হাতে খুন হলেন স্বামী। মীরাটের সৌরভ রাজুপুতকে খুনের ঘটনায় গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। স্ত্রী মুসকান এবং তাঁর প্রেমিক সৌরভ শুক্ল মিলে সৌরভকে খুন করে টুকরো টুকরো করে। এই ঘটনায় দেশবাসী শিউরে উঠেছিল। আবার সেই উত্তরপ্রদেশেই স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল নববিবাহিত স্ত্রীর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী জেলায় বিয়ের মাত্রা দু’সপ্তাহের মাথায় কন্ট্রাক্ট কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী।

আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে মাংসের দোকান বন্ধের দাবি বিজেপির, বিরোধিতায় ন্যাশনাল কনফারেন্স

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রগতি যাদবের সঙ্গে তারই গ্রামের ছেলে অনুরাগ যাদবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৫ মার্চ দিলীপ যাদব নামে এক যুবকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় প্রগতির। বিয়ের পর প্রেমিক অনুরাগের সঙ্গে মিলে প্রগতি স্বামী দিলীপকে খুনের ষড়যন্ত্র করে। পুলিশি জেরায় অনুরাগ জানিয়েছে, “দিলীপ ধনী পরিবারের ছেলে। তাঁর মৃত্যুর পর দু’জনে একসঙ্গে থাকব বলে ঠিক করেছিলাম।” প্রগতি অনুরাগকে এক লক্ষ টাকা দেয়। এরপর দিলীপকে খুনের জন্য অনুরাগ রামজি নগর নামে এক কন্ট্রক্ট কিলারকে দুই লক্ষ টাকা দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ যাদব কনৌজ জেলায় কাজে গিয়েছিলেন। ১৯ মার্চ সেখান থেকে ফিরছিলেন। পাটনা খালের কাছে রাস্তার ধারের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। মোটরসাইকেলে করে আসা দু’জন লোক দিলীপকে বাইকে তুলে নিয়ে যায় এবং গুলি করে। গুলি করার পর গমের খেতে দেহ ফেলে দেয় তারা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দিলীপকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দিলীপ যাদব মারা যান।

পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিলীপকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে ফুটেজে। কন্ট্রাক্ট কিলার রামজি নাগরের পরিচয়ও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপরেই রামজি এবং অনুরাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছে রামজি এবং অনুরাগ। গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে প্রগতিকে মনে করা হচ্ছে। একটি দেশি পিস্তল এবং তাজা কার্তুজ অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রগতিকেও পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। তিন অভিযুক্তকেই আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং জেল পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ঊধ্বর্তন পুলিশ কর্তা।