২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নো আদার ল্যান্ড: ফিলিস্তিন-ইসরাইলি নির্মাতাদের অস্কার জয়

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের বাড়িঘর রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’ সেরা ডকুমেন্টরি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডরবি থিয়েটার হলে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের অ্যাক্টিভিস্ট বাসেল আন্দ্রা এবং ইসরাইলি সাংবাদিক ইউভাল আব্রাহাম তাদের ডকুমেন্টরিতে মূলত ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জাতিগত নির্মূল’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। আল জাজিরা ও সিএনএন জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা নামের একটি এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উৎখাত করে ইসরাইলি সেনারা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। আর সে-সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন আদ্রা। ঘটনাচক্রে ইহুদি ইসরাইলি সাংবাদিক আব্রাহামের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তার। পরে আব্রাহাম এই ডকুমেন্টরি বানাতে আন্দ্রাকে সহযোগিতা করেন।
এই প্রামাণ্যচিত্রটির শ্যুটিং হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত। শ্যুটিংয়ের শেষ বছরে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইল হামলা চালানোর কয়েকদিন আগে এটির নির্মাণ শেষ হয়।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের ওই চার বছরে পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা নামের একটি এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের উৎখাত করে ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দির কাজ করেছেন আন্দ্রা।
ঘটনাচক্রে ইহুদি ইসরাইলি সাংবাদিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে আন্দ্রার, যিনি এই প্রামাণ্যচিত্র বানাতে আন্দ্রাকে সহযোগিতা করেছেন। অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসরা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন আন্দ্রা।
তিনি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে আমরা কঠোর বাস্তবতার শিকার হচ্ছি। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বকে আমরা আহ্বান জানাই।’ গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এবং ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন আন্দ্রা।
‘আমরা ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলিরা একসঙ্গে এই সিনেমাটি বানিয়েছি। কারণ আমাদের মিলিত কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী।’ আন্দ্রা বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে আমি বাবা হয়েছি। আমার মেয়ে যেন আমার মতো জীবন না কাটায় সেই আশা রাখি। তাকে যেন প্রতিনিয়ত বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ, সহিংসতা, বাড়ি ভাঙা এবং জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি মোকাবিলা করতে না হয়।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নো আদার ল্যান্ড: ফিলিস্তিন-ইসরাইলি নির্মাতাদের অস্কার জয়

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নিজেদের বাড়িঘর রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নো আদার ল্যান্ড’ সেরা ডকুমেন্টরি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডরবি থিয়েটার হলে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনের অ্যাক্টিভিস্ট বাসেল আন্দ্রা এবং ইসরাইলি সাংবাদিক ইউভাল আব্রাহাম তাদের ডকুমেন্টরিতে মূলত ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জাতিগত নির্মূল’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। আল জাজিরা ও সিএনএন জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা নামের একটি এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উৎখাত করে ইসরাইলি সেনারা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। আর সে-সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন আদ্রা। ঘটনাচক্রে ইহুদি ইসরাইলি সাংবাদিক আব্রাহামের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তার। পরে আব্রাহাম এই ডকুমেন্টরি বানাতে আন্দ্রাকে সহযোগিতা করেন।
এই প্রামাণ্যচিত্রটির শ্যুটিং হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত। শ্যুটিংয়ের শেষ বছরে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইল হামলা চালানোর কয়েকদিন আগে এটির নির্মাণ শেষ হয়।
প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের ওই চার বছরে পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা নামের একটি এলাকায় সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের উৎখাত করে ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দির কাজ করেছেন আন্দ্রা।
ঘটনাচক্রে ইহুদি ইসরাইলি সাংবাদিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে আন্দ্রার, যিনি এই প্রামাণ্যচিত্র বানাতে আন্দ্রাকে সহযোগিতা করেছেন। অস্কারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসরা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন আন্দ্রা।
তিনি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে আমরা কঠোর বাস্তবতার শিকার হচ্ছি। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বকে আমরা আহ্বান জানাই।’ গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এবং ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন আন্দ্রা।
‘আমরা ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলিরা একসঙ্গে এই সিনেমাটি বানিয়েছি। কারণ আমাদের মিলিত কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী।’ আন্দ্রা বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে আমি বাবা হয়েছি। আমার মেয়ে যেন আমার মতো জীবন না কাটায় সেই আশা রাখি। তাকে যেন প্রতিনিয়ত বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ, সহিংসতা, বাড়ি ভাঙা এবং জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি মোকাবিলা করতে না হয়।’