২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনা চিকিৎসায় ৩ ঘণ্টা পড়ে থাকল রোগী, কাঠগড়ায় আর জি কর হাসপাতাল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 3

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টানা ৩ ঘণ্টা! বিনা চিকিৎসায় আর জি করে পড়ে থাকল রোগী। অভিযোগের তীর  জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রোগীর পরিবারকে দিয়ে সাদা কাগজে জোর করে মুচলেকা লেখানো হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার বিকেল ৪ টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে  সুজিত ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন দিদি গীতা ঘোষ। গার্হস্থ্যের অশান্তির জেরে বিষ খেয়ছিলেন তিনি।বিকেল চারটে নাগাদ তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে এনে কার্ড করেন গীতাদেবী। কার্ড হওয়ার পরেও সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পড়েছিলেন রোগী। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। দেখা মেলেনি কোনও ডাক্তারের। এমনকি অন ডিউটি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ। শেষমেশ সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, টানা ৩ ঘণ্টা যন্ত্রণায় ছটপট করলেও এগিয়ে আসেনি কোনও ডাক্তার। অনেকে ফোন ঘাটছিলেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ফ্রন্টের সদস্যরা মাঠে নামেন। এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাদা কাগজে মিথ্যা বয়ান লিখে টিপসই করিয়ে দেন তাঁকে দিয়ে।

গীতা ঘোষ উক্ত বিষয়ে জানিয়েছেন, আমি পড়াশোনা জানি না। আমায় কয়েকজন বলে আমরা বয়ান লিখে দিচ্ছি আপনি তাতে টিপছাপ দিয়ে দেবেন। শুধু তাই নয়,( ৪-৭) দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার সময়ের ব্যবধান লুকাতে নতুন করে আউটডোর টিকিট ছাপানোর ব্যবস্থা করেন একদল ফ্রন্টের জন্য কয়েক সদস্য।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিনা চিকিৎসায় ৩ ঘণ্টা পড়ে থাকল রোগী, কাঠগড়ায় আর জি কর হাসপাতাল

আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টানা ৩ ঘণ্টা! বিনা চিকিৎসায় আর জি করে পড়ে থাকল রোগী। অভিযোগের তীর  জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রোগীর পরিবারকে দিয়ে সাদা কাগজে জোর করে মুচলেকা লেখানো হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার বিকেল ৪ টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে  সুজিত ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন দিদি গীতা ঘোষ। গার্হস্থ্যের অশান্তির জেরে বিষ খেয়ছিলেন তিনি।বিকেল চারটে নাগাদ তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে এনে কার্ড করেন গীতাদেবী। কার্ড হওয়ার পরেও সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পড়েছিলেন রোগী। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। দেখা মেলেনি কোনও ডাক্তারের। এমনকি অন ডিউটি মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সিতীশ। শেষমেশ সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, টানা ৩ ঘণ্টা যন্ত্রণায় ছটপট করলেও এগিয়ে আসেনি কোনও ডাক্তার। অনেকে ফোন ঘাটছিলেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ফ্রন্টের সদস্যরা মাঠে নামেন। এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাদা কাগজে মিথ্যা বয়ান লিখে টিপসই করিয়ে দেন তাঁকে দিয়ে।

গীতা ঘোষ উক্ত বিষয়ে জানিয়েছেন, আমি পড়াশোনা জানি না। আমায় কয়েকজন বলে আমরা বয়ান লিখে দিচ্ছি আপনি তাতে টিপছাপ দিয়ে দেবেন। শুধু তাই নয়,( ৪-৭) দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার সময়ের ব্যবধান লুকাতে নতুন করে আউটডোর টিকিট ছাপানোর ব্যবস্থা করেন একদল ফ্রন্টের জন্য কয়েক সদস্য।