১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোস্ট ডক্টরেটে আগ্রহ বাড়ছে ভিন দেশে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার
  • / 99

গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা

সেখ কুতুবউদ্দিন: উন্নত দেশগুলিতে গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে। আর ভারতের গবেষণা ক্ষেত্রে বরাদ্দ দিনের দিন কমে যাচ্ছে। আর এতে প্রভাব পড়ছে গুণমান- আগ্রহে। চিন, জাপান, জার্মানির ক্ষেত্রে গবেষণায় বরাদ্দ সর্বোচ্চ থাকে। আর এদেশে গবেষণা খাতে আগের থেকে ৫০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ কমে গিয়েছে। গবেষকদের যেখানে প্রতি মাসে ৩৮ হাজার টাকা দেওয়া হত। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ থেকে ১৪ হাজারে। কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দের কারণেই গবেষণা ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা গিয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না হওয়ার কারণে অনেকে পোস্ট ডক্টরেটও করতে পারছেন না বলে পুবের কলমকে জানালেন কলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হবে না। পুরোপুরি বেসরকারিকরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাও সেই পথে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যে সীমান্ত সড়কের বেহাল দশা লোকসভায় Abu Taher

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এদিন বলেন, কেন্দ্রের গবেষণার সমস্ত প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গবেষকদের সাম্মানিকও কমে গিয়েছে। স্টেট ইউনিভারসিটির ক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এতে সব থেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে গবেষকদের। তবে রাজ্য সরকার যেভাবে অর্থ প্রদান করে, তার জন্যই চলছে গবেষণা।
এদিকে গবেষণা কাজে আর্থিক সঙ্কট মেটাতে আগেই উদ্যোগ নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই উদ্যোগ কার্যকর করা হচ্ছে। গবেষকদের নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। প্রাক্তনী সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের আওতায় স্বাধীনভাবে কাজ করবে। গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ‘সেলটি আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রতিষ্ঠানটিকে সাহায্য করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও উন্নয়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: প্রতারণা রুখতে আনা হচ্ছে E-Passport

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কথায়, এখন গবেষণা খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও কমে যেতে পারে। এতে গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছে।
আইআইটির এক প্রাক্তনীর বক্তব্য, পোস্ট ডক্টরেট করার সময় একদিকে পরিবার চালনার চাপ, অন্যদিকে গবেষণার খরচ। এর জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। পোস্ট ডক্টরেট-এ ভারত সরকার কোনও পর্যাপ্ত টাকা দিচ্ছে না। তাই বিদেশে আবেদন করছেন বহু গবেষক। পাশাপাশি এদেশের রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফ্যাকাল্টিরাও রিসার্চ ফাণ্ডিং পাচ্ছে না। এর ফলে হতাশায় ভুগছে অনেকে। কারণ, ডক্টরেট-এ প্রায় ২ থেকে ৫ বছর কেটে যায়। এই দীর্ঘ সময়ে খরচ যোগানের প্রয়োজন।ইউএসএস, ইউকে, কানাডা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলিতে গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়। গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করা হয়। আর ভারতে গবেষণার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা একটা দেশকে উন্নত শিখরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করেন বিদেশে গবেষণারত আইআইটির ওই পড়ুয়া।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পোস্ট ডক্টরেটে আগ্রহ বাড়ছে ভিন দেশে

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার

গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা

সেখ কুতুবউদ্দিন: উন্নত দেশগুলিতে গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে। আর ভারতের গবেষণা ক্ষেত্রে বরাদ্দ দিনের দিন কমে যাচ্ছে। আর এতে প্রভাব পড়ছে গুণমান- আগ্রহে। চিন, জাপান, জার্মানির ক্ষেত্রে গবেষণায় বরাদ্দ সর্বোচ্চ থাকে। আর এদেশে গবেষণা খাতে আগের থেকে ৫০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ কমে গিয়েছে। গবেষকদের যেখানে প্রতি মাসে ৩৮ হাজার টাকা দেওয়া হত। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ থেকে ১৪ হাজারে। কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দের কারণেই গবেষণা ক্ষেত্রে সঙ্কট দেখা গিয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না হওয়ার কারণে অনেকে পোস্ট ডক্টরেটও করতে পারছেন না বলে পুবের কলমকে জানালেন কলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা হবে না। পুরোপুরি বেসরকারিকরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাও সেই পথে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যে সীমান্ত সড়কের বেহাল দশা লোকসভায় Abu Taher

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এদিন বলেন, কেন্দ্রের গবেষণার সমস্ত প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গবেষকদের সাম্মানিকও কমে গিয়েছে। স্টেট ইউনিভারসিটির ক্ষেত্রে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এতে সব থেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে গবেষকদের। তবে রাজ্য সরকার যেভাবে অর্থ প্রদান করে, তার জন্যই চলছে গবেষণা।
এদিকে গবেষণা কাজে আর্থিক সঙ্কট মেটাতে আগেই উদ্যোগ নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সেই উদ্যোগ কার্যকর করা হচ্ছে। গবেষকদের নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। প্রাক্তনী সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের আওতায় স্বাধীনভাবে কাজ করবে। গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ‘সেলটি আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রতিষ্ঠানটিকে সাহায্য করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও উন্নয়ন সম্ভব হবে। পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: প্রতারণা রুখতে আনা হচ্ছে E-Passport

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কথায়, এখন গবেষণা খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও কমে যেতে পারে। এতে গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছে।
আইআইটির এক প্রাক্তনীর বক্তব্য, পোস্ট ডক্টরেট করার সময় একদিকে পরিবার চালনার চাপ, অন্যদিকে গবেষণার খরচ। এর জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন। পোস্ট ডক্টরেট-এ ভারত সরকার কোনও পর্যাপ্ত টাকা দিচ্ছে না। তাই বিদেশে আবেদন করছেন বহু গবেষক। পাশাপাশি এদেশের রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফ্যাকাল্টিরাও রিসার্চ ফাণ্ডিং পাচ্ছে না। এর ফলে হতাশায় ভুগছে অনেকে। কারণ, ডক্টরেট-এ প্রায় ২ থেকে ৫ বছর কেটে যায়। এই দীর্ঘ সময়ে খরচ যোগানের প্রয়োজন।ইউএসএস, ইউকে, কানাডা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলিতে গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়। গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করা হয়। আর ভারতে গবেষণার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা একটা দেশকে উন্নত শিখরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করেন বিদেশে গবেষণারত আইআইটির ওই পড়ুয়া।