১০০ বছর পর পশ্চিমবঙ্গে মৌজা মানচিত্র প্রস্তুতের প্রক্রিয়া

- আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 25

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122
পুবের কলম প্রতিবেদক: ১০০ বছরের মধ্যে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ক্যাডাস্ট্রাল বা মৌজা মানচিত্র প্রস্তুতের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। সেই অনুযায়ী, কলকাতা বাদে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একটি সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। সরকারি মতে, বিগত এক শতাধীতে মৌজার চরিত্র বদলে গেছে। রাজ্য ভূমি দফতর সূত্রে জানা গেছে, শেষবার ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল বঙ্গভঙ্গের ২২ বছর আগে ১৯২৫ সালে। তবে দফতরের কাছে কলকাতা শহরের জমির বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। তাই এই জেলাকে সমীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে।
ভূমি বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই একশো বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। বাংলার এলাকা অনেকবার পরিবর্তিত হয়েছে। বাংলার অংশ বিহার ও অসমে চলে গেছে। অন্যদিকে, ১৯৪৭ সালে বাংলাকে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গে ভাগ করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা বিভাগের পর, পশ্চিমবঙ্গে বিশাল জনসংখ্যার মানুষের আগমন ঘটেছে। অনেক কৃষি জমি, অর্পিত জমি এবং নিচু জমি ‘বাস্তু’ বা আবাসিক জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত এলাকাগুলি পুরসভা বা কর্পোরেশনের অধীনে এসেছে। সুতরাং, নতুন এই সমীক্ষায় সরকারের অধীনে কোথায় কোন ধরনের জমি আছে এবং জমির চরিত্র নির্ধারণের সহায়ক হবে।’
উল্লেখ্য, মৌজা মানচিত্র হল ভূমি বিভাজন এবং সীমানার একটি গ্রাফিক উপস্থাপনা। জমির মালিকানা, পরিমাপ, রেকর্ড করতে এই মৌজা মানচিত্র ব্যবহৃত হয়। যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের কিছু অংশে প্রশাসনিক কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
ভূমি দফতর সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট ছবির সাহায্যে মৌজা মানচিত্র প্রস্তুত করবে রাজ্য সরকার। অত্যাধুনিক জিও ট্যাগিং ক্যামেরা এবং ড্রোন-পেইন্টিংও ব্যবহার করা হবে। ডাইরেক্টরেট অফ ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড সার্ভে সেই তথ্য পর্যালোচনা করবে এবং প্রতিটি মৌজার জন্য চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ করবে।
সূত্রের খবর, তিন ধাপে এই সমীক্ষা করা হবে। প্রথম ধাপে হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পূর্বে বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় ধাপে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়া, বীরভূম, তৃতীয় ধাপে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার।
ভূমি দফতর সূত্র জানা গেছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে ৪২,৩০২টি মৌজা রয়েছে। রাজ্যের জল-ভিত্তিক দ্বীপ সম্বলিত মৌজাগুলির জন্য পৃথক মানচিত্র তৈরি করা হবে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ৬৮,৪৫৩টি মৌজা মানচিত্র তৈরি করা হবে।