১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 113

পাটনা: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদের প্রভাব পড়ল ইফতার মজলিসেও। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকা ইফতার মজলিসে গেলেন না একাধিক মুসলিম নেতারা। জানা গিয়েছে, রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ইফতার মজলিসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিত্ব ও মুসলিম সংগঠনগুলিকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ইফতার মজলিসকে বয়কট করে দেশের বড় বড় মুসলিম সংগঠনগুলি। ইফতারে অংশ নেয়নি একাধিক বিশিষ্ট মুসলিম নেতাও। পাশাপাশি সোমবার পাটনায় ইফতার মজলিসের আয়োজন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। তাঁর ইফতারও বয়কট করেছেন মুসলিম নেতারা।

সূত্রের খবর, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, ইমারাত শরিয়াহ (বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড), জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, জমিয়ত আহলে হাদিস, জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ, খানকাহ মুজিবিয়া এবং খানকাহ রহমানির মত সংগঠনগুলি ইফতার বয়কট করে। এক মুসলিম নেতা বলেছেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করেনি নীতীশের দল। পরোক্ষভাবে বিলের সমর্থন করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা হওয়ার পরও তিনি প্রতিবাদ জানাননি। এ কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর ইফতার মজলিস বয়কট করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতাও।

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে মুসলিম সংগঠনগুলি জানিয়েছে, “আপনি ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে আপনার জোট অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতি সমর্থন জানানো আপনার প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।” চিঠিতে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে, “ইফতারের আয়োজন করে সম্প্রীতি ও আস্থা গড়ে তোলা নিছকই নাটক। মুসলমানদের ন্যায়সঙ্গত দাবির অব্যাহত অবহেলা এই ধরনের আয়োজনকে অর্থহীন করে তোলে।” এক মুসলিম নেতার বক্তব্য, ওয়াকফ বিল পাশ হলে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় সম্পত্তিকে কেড়ে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এরফলে সংখ্যালঘুদের মধ্যে দারিদ্র্যতা ও বঞ্চনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। যেমনটি সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে আপনি এবং আপনার জেডিইউ দায়ী থাকবেন। সংবিধানকে লঙ্ঘন করে ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে আমরা গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উপায়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ: নীতীশের ইফতার মজলিস বয়কট মুসলিম সংগঠনগুলির

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার

পাটনা: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদের প্রভাব পড়ল ইফতার মজলিসেও। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকা ইফতার মজলিসে গেলেন না একাধিক মুসলিম নেতারা। জানা গিয়েছে, রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ইফতার মজলিসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিত্ব ও মুসলিম সংগঠনগুলিকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ইফতার মজলিসকে বয়কট করে দেশের বড় বড় মুসলিম সংগঠনগুলি। ইফতারে অংশ নেয়নি একাধিক বিশিষ্ট মুসলিম নেতাও। পাশাপাশি সোমবার পাটনায় ইফতার মজলিসের আয়োজন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। তাঁর ইফতারও বয়কট করেছেন মুসলিম নেতারা।

সূত্রের খবর, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, ইমারাত শরিয়াহ (বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড), জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, জমিয়ত আহলে হাদিস, জামাত-ই-ইসলামী হিন্দ, খানকাহ মুজিবিয়া এবং খানকাহ রহমানির মত সংগঠনগুলি ইফতার বয়কট করে। এক মুসলিম নেতা বলেছেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করেনি নীতীশের দল। পরোক্ষভাবে বিলের সমর্থন করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা হওয়ার পরও তিনি প্রতিবাদ জানাননি। এ কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর ইফতার মজলিস বয়কট করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতাও।

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে মুসলিম সংগঠনগুলি জানিয়েছে, “আপনি ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে আপনার জোট অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতি সমর্থন জানানো আপনার প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী।” চিঠিতে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে, “ইফতারের আয়োজন করে সম্প্রীতি ও আস্থা গড়ে তোলা নিছকই নাটক। মুসলমানদের ন্যায়সঙ্গত দাবির অব্যাহত অবহেলা এই ধরনের আয়োজনকে অর্থহীন করে তোলে।” এক মুসলিম নেতার বক্তব্য, ওয়াকফ বিল পাশ হলে সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় সম্পত্তিকে কেড়ে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এরফলে সংখ্যালঘুদের মধ্যে দারিদ্র্যতা ও বঞ্চনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। যেমনটি সাচার কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই বিলটি আইনে পরিণত হলে আপনি এবং আপনার জেডিইউ দায়ী থাকবেন। সংবিধানকে লঙ্ঘন করে ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে আমরা গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক উপায়ে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।