২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়াকফ  আন্দোলন হিন্দু -মুসলিম সবার: হাফিজ রশিদ চৌধুরী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 175

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলতে থাকা  আন্দোলন শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নয়।

এ  আন্দোলন সংবিধান রক্ষার আন্দোলন এবং একইসঙ্গে  হিন্দু -মুসলিম সবার। শুক্রবার অসমের শিলচরে এই দাবি করেছেন অসম ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রবীণ আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশের সবাইকে তাঁদের নিজস্ব ধর্ম এবং আচার-আচরণ পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংশোধিত ওয়াকফ আইনে সেসব অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপকে সংবিধানের উপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করছেন রশিদ আহমেদ।

তিনি বলেন, ওয়াকফ আইন সংশোধনের নামে এমন সব ধারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে নষ্ট করছে। তাই শুধু মুসলমানরাই নন, সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করেছেন অমুসলিম সাংসদরাও। সংখ্যায় মুসলিম সাংসদদের তুলনায় এদের সংখ্যাই বেশি। তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বিল পেশ হওয়ার পর লোকসভায় এর বিরোধিতা করেছেন ২৩২ জন সাংসদ। এর মধ্যে মুসলিম সাংসদ মাত্র ৪০ জন। তার মানে, বাকি ১৯২ জন সাংসদই অমুসলিম, এরাই গণতন্ত্রের আসল সৈনিক।

তিনি আরও বলেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইনে সম্পত্তির নথিপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে হিসাবে কয়েকশো বছর আগের দিল্লির জামা মসজিদের নথি যদি এখন উত্থাপন করতে বলা হয়, তা সম্ভব হবে না। নয়া আইনে এরকমই অনেক ধারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আপত্তিটা সেখানেই। তবে তিনি এও সতর্ক করে দেন, বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন। তাই মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী আন্দোলন হতে হবে শান্তিপূর্ণ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওয়াকফ  আন্দোলন হিন্দু -মুসলিম সবার: হাফিজ রশিদ চৌধুরী

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলতে থাকা  আন্দোলন শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নয়।

এ  আন্দোলন সংবিধান রক্ষার আন্দোলন এবং একইসঙ্গে  হিন্দু -মুসলিম সবার। শুক্রবার অসমের শিলচরে এই দাবি করেছেন অসম ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রবীণ আইনজীবী হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশের সবাইকে তাঁদের নিজস্ব ধর্ম এবং আচার-আচরণ পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংশোধিত ওয়াকফ আইনে সেসব অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপকে সংবিধানের উপর সরাসরি আঘাত বলে মনে করছেন রশিদ আহমেদ।

তিনি বলেন, ওয়াকফ আইন সংশোধনের নামে এমন সব ধারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে নষ্ট করছে। তাই শুধু মুসলমানরাই নন, সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করেছেন অমুসলিম সাংসদরাও। সংখ্যায় মুসলিম সাংসদদের তুলনায় এদের সংখ্যাই বেশি। তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বিল পেশ হওয়ার পর লোকসভায় এর বিরোধিতা করেছেন ২৩২ জন সাংসদ। এর মধ্যে মুসলিম সাংসদ মাত্র ৪০ জন। তার মানে, বাকি ১৯২ জন সাংসদই অমুসলিম, এরাই গণতন্ত্রের আসল সৈনিক।

তিনি আরও বলেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইনে সম্পত্তির নথিপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সে হিসাবে কয়েকশো বছর আগের দিল্লির জামা মসজিদের নথি যদি এখন উত্থাপন করতে বলা হয়, তা সম্ভব হবে না। নয়া আইনে এরকমই অনেক ধারা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আপত্তিটা সেখানেই। তবে তিনি এও সতর্ক করে দেন, বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন। তাই মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী আন্দোলন হতে হবে শান্তিপূর্ণ।