রমযান: রহমতের ১০ দিন

- আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 29
পুবের কলম, দ্বীন দুনিয়া ডেস্ক: পবিত্র রমযান মাস রহমত, মাগফিরাত ও নাযাতের বার্তা নিয়ে আসে। হাদিস অনুযায়ী, রমযানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং শেষ ১০ দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তির। তাই রমযানের প্রথম দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আল্লাহর রহমত লাভের শ্রেষ্ঠ সময়।
♦ রমযানের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত
⇔ রমযানের প্রথম ১০ দিনকে ‘রহমতের দশক’ বলা হয়। এ সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাহদের ওপর অসীম দয়া ও করুণা বর্ষণ করেন। নবী (সা.) বলেছেন, রমযান এমন একটি মাস, যার প্রথম অংশ রহমত, মধ্য অংশ মাগফিরাত এবং শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (বায়হাকি) ⇔
♦ এই ১০ দিনে করণীয়
⇔ নামায ও কুরআন তিলাওয়াত: পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথাযথভাবে আদায় করা এবং কুরআন তিলাওয়াত বাড়ানো।⇔
⇔ অতিরিক্ত দোয়া ও ইস্তেগফার: আল্লাহর রহমত লাভের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা।⇔
⇔ সাদকাহ ও দান: দরিদ্রদের সহায়তা করা এবং দান-সদকা বৃদ্ধি করা।⇔
⇔ রোযার আত্মিক প্রশিক্ষণ: গীবত, মিথ্যা ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থেকে আত্মশুদ্ধি করা।⇔
⇔ তারাবিহ নামায: প্রতিদিন তারাবিহ নামায আদায় করা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। ⇔
⇔ রমযান মাসের প্রথম ১০ দিন রহমতের বা দয়ার। সুতরাং এই ১০ দিন করণীয় হল আল্লাহর দয়ামায়া সংক্রান্ত নামগুলি জেনে মুখস্থ করা। নামের বৈশিষ্ট্য জেনে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হবে। ⇔
♦ আল্লাহর দয়া, করুণা ও রহমতসুলভ নামগুলি হল:
আর রাহমানু (অসীম দয়ালু), আর রাহিমু (পরম করুণাময়), আল ওয়াদুদু (প্রেমময়), আর রউফু (স্নেহশীল), আল আজিজু (মমতাময়), আল কারিমু (অনুগ্রহকারী), আস সালামু (শান্তিদাতা), আল মুমিনু (নিরাপত্তাদাতা), আল মুহাইমিনু (রক্ষাকর্তা), আল বাসিতু (করুণা বিস্তারকারী), আল মুইজজু (সম্মানদাতা), আল লাতিফু (করুণাকারী), আল মুজিবু (প্রার্থনা কবুলকারী), আর রাজ্জাকু (রিজিক দানকারী), আল ওয়াসিউ (দয়া প্রসারকারী), আল ওয়ালিয়্যু (পরম বন্ধু), আন নাফিউ (কল্যাণকারী), আল হাদিউ (পথের দিশারি), আন নাসিরু (সাহায্যকারী), আল হান্নানু (করুণাশীল), আল মান্নানু (দয়ার্দ্র) ইত্যাদি।
রমযানের প্রথম ১০ দিনে বা রহমতের ১০ দিনে করণীয় হবে ওই সব গুণ অর্জন করা এবং আচরণে ও ব্যবহারে এর প্রকাশ ঘটানো।নবী (সা.) বলেছেন, ‘তুমি জগতবাসীর প্রতি দয়া কর, তবে আল্লাহও তোমার প্রতি দয়া করবেন।’ (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)