গঙ্গার জলে বাড়ছে লবণাক্ততার পরিমাণ, সতর্ক করছেন পরিবেশবিদরা

- আপডেট : ৫ মার্চ ২০২৫, বুধবার
- / 4
পুবের কলম প্রতিবেদক: ধীরে ধীরে ঘাটের কাছে গঙ্গাজলে বাড়ছে লবণের পরিমাণ। এভাবে নোনা জলের মাত্রা বাড়তে থাকলে ভবিষ্যতে কলকাতা পুরনিগমের জলশোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর জলশোধনের প্ল্যান্ট ক্ষতি হলে জলসংকটে ভুগতে পারে মহানগর। এমনটাই আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
জানা গিয়েছে, ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার উদ্যোগে গঙ্গার ঘাটের জল ও জলজ প্রাণীদের নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সমীক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। প্রথম ধাপের এই সমীক্ষায় কলকাতা থেকে বারাকপুর পর্যন্ত ঘাটগুলির জল পরীক্ষায় ব্যাপক মাত্রায় লবণাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
এ নিয়ে বিজ্ঞানী স্বাতী জানান, সাধারণত নদীর জলে ১০০ পিপিটি (পার্টস পার ট্রিলিয়ন) স্যালিনিটি বা লবণাক্ত থাকে। এটা স্বাভাবিক মাত্রা। ১৫০ পিপিটি পর্যন্ত স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয়। তবে দেখা যাচ্ছে গঙ্গার ঘাটের জলে লবণের মাত্রা কোথাও ২০০ পিপিটি, কোথাও আবার ২৮০। এটা মাত্রাতিরিক্ত। এভাবে বাড়তে থাকলে কলকাতাবাসীর জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। তাঁর মতে, জলে লবণের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ভবিষ্যতে পরিস্রুত করতে গিয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব শহরবাসীর ওপর পড়বে। জল সংকটও দেখা দিতে পারে।
শুধু পরিবেশবিদরাই বয়, গঙ্গার জলে লবণাক্ততার প্রভাব নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগও ওয়াকিফহাল। শহরে একটা বড় অংশের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয় পলতা শোধনাগার থেকে। এ ছাড়া গার্ডেনরিচ, ওয়াটগঞ্জ, জোড়াবাগান ও ধাপার জয় হিন্দ প্ল্যান্ট থেকে জল সরবরাহ করা হয়। পুর-জল সরবরাহ বিভাগের অফিসাররা বলছেন, গঙ্গার জলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি নিয়ে তারাও জানেন। তবে উন্নতমানের প্রযুক্তির মাধ্যমে তার মেকাবিলা করতে পুর-প্রশাসন কাজ করছে। মানুষের স্বাস্থ্যের কথা সবসময় ভাবে পুরনিগম।