লোকসভায় ওয়াকফ বিল পেশের পর মুজাফফরনগর সহ ইউপি ও দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে
- আপডেট : ২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 434
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদে পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। এই বিলকে কেন্দ্র করে সংসদে বাকযুদ্ধে নামল শাসক ও বিরোধী শিবির। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল সংখ্যালঘুদের স্বার্থ বিরোধী। দেশজুড়ে চলছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি। বিলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, সে কথা মাথায় রেখে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে। অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে এমন সমস্ত জায়গাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই দিল্লির বিভিন্ন জায়গার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প, পাশাপাশি চলছে পুলিশি টহলদারি। কোনওরকম অশান্তি যাতে না ঘটে তার জন্য কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত ডিসিপিকে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। অন্যদিকে, এই বিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা রুখতে বুধবার রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও রকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গোয়েন্দা বিভাগগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় কোনও গুজব, উস্কানি বা আপত্তিকর পোস্ট দেখলেই কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুজাফফরনগর জেলা প্রশাসনের তরফে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উমেশ মিশ্র এবং সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) অভিষেক সিংয়ের নেতৃত্বে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে একটি ফ্ল্যাগ মার্চ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককে মোদি-ইউনূসের বৈঠক হবে? বৈঠক নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের বিদেশসচিব
তারা জানিয়েছে, খালাপার এলাকা সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে এই টহল চলছে।পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন নজরদারিও চালানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে মুজাফফরনগরের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই দিল্লির বিভিন্ন জায়গার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প, পাশাপাশি চলছে পুলিশি টহলদারি। কোনওরকম অশান্তি যাতে না ঘটে তার জন্য কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত ডিসিপিকে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, বাম দলগুলি ছাড়াও বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সম্মিলিতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করা হবে। বিল নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য ৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী শিবিরে ওয়াকফ নিয়ে ঐক্যের ছবি দেখা গেলেও কিছুটা হলেও বিক্ষিপ্ত শাসক শিবির। এনডিএর শরিকরা এখনও বিল নিয়ে দোনামোনায়। চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও খানিকটা সংশয়ে বিজেপির বিহারের দুই জোটসঙ্গী জেডিইউ এবং লোকজনশক্তি পার্টি। এখনও যা পরিস্থিতি তাতে এই দুই দল বিলটির পক্ষে ভোট নাও দিতে পারে। এদিকে লোকসভায় বিল পাশ করাতে সংসদে দলের সব সাংসদদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করে বিজেপি।











































