৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, শনিবার
  • / 256

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীতে টিকে থাকার মূলমন্ত্রই হল গতিশীলতা। যে যত বেশি গতিশীল সে তত বেশি এগিয়ে। আর টিকে থাকতে গেলে প্রাণীদের শিকার করতেই হবে। আর শিকার ধরতে এবং শিকারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে দরকার গতি। সম্প্রতি দ্রুতগতির প্রাণীর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই সব প্রাণীদের কাহিনি তুলে ধরা হল।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী চিতা। ঘণ্টায় ৯৪ কিলোমিটার গতিতে দৌড়তে পারে চিতা। আফ্রিকার বিস্তৃত তৃণভূমিতে হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী শিকারের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি এবং তীব্র গতি এই প্রাণীকে অপ্রতিরোধ্য ও ভয়ঙ্কর শক্তিতে পরিণত করেছে।

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

এরপর নাম নিতে হয় অস্ট্রেলিয়ান টাইগার বিটলের (গুবরে পোকা)। লম্বায় ২০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার। পোকাটি প্রতি সেকেন্ডে তার শরীরের দৈর্ঘ্যের ১২৫ গুণের সমান গতিতে চলতে পারে। যা আশ্চর্যজনক।

আরও পড়ুন: ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত ‘ডায়ার উলফ’ ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা

আরও পড়ুন: বিড়ালের বিশ্বজয়, লম্বা লেজের জন্য গিনেসে নাম উঠল পাগস্লের

আরও পড়ুন: নিউ টাউনে পশু হাসপাতাল গড়বে রাজ্য

পুরুষ ঘোড়া মাছি (হর্সফ্লাই) পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম উড়ন্ত পতঙ্গ। প্রতি ঘণ্টায় গতি আনুমানিক ১৪৫ কিলোমিটার। পেটে রঙিন কমলা রঙের চিহ্নের কারণে এই মাছিকে খুব সহজেই অন্যান্য মাছি থেকে আলাদা করা হয়। মেরু অঞ্চল ছাড়া সারা বিশ্বে এদের দেখা যায়।

ধলাগলা সুইবাতাসি নামের পাখিটি উড়ন্ত অবস্থায় সবচেয়ে দ্রুততম গতির পাখি। যদিও বিষয়টি কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করা হয়নি। এটি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম। এ তথ্য প্রমাণিত হলে, এটি হবে সোনালি ইগলের চেয়েও দ্রুতগতির পাখি।  পরিযায়ী পাখি হওয়ায় লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।

হেঁটে সবচেয়ে দ্রুত পথ অতিক্রম করতে পারে উটপাখি। এটির গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। লম্বা পা ফেলে এবং শক্তিশালী পেশি ব্যবহার করে অত্যন্ত দ্রুততম গতিতে দৌড়তে পারে। উটপাখির পায়ের পেশি এতটাই শক্তিশালী যে লাথি মেরে একটি সিংহকে মেরে ফেলতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম গতির সাঁতার কাটা মাছ ব্ল্যাক মার্লিন।সর্বোচ্চ গতিবেগ আনুমানিক ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার। ব্ল্যাক মার্লিন হল শিকারি মাছ। তীক্ষ্ণ ঠোঁট ও চিত্তাকর্ষক সহনশীলতার কারণে এদের ধরা খুবই কঠিন। এই মাছ ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা হল গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। যদিও ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের মতো অনেক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেও এটি পাওয়া যায়।

প্রংহর্ন বিরতি না নিয়ে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার গতিতে দৌড়তে পারে।সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮৬ কিলোমিটার। যা বেশির ভাগ শিকারির চোখকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এই গতি প্রাণীটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণীতেও পরিণত করে।

কাঁটাযুক্ত লেজের ইগুয়ানা হল স্থলের সবচেয়ে দ্রুততম গতির গিরগিটি। প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ ৩৪.৬ কিলোমিটার। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচতে তারা অল্প সময়ে এই গতিতে দৌড়তে পারে।

জলে সবচেয়ে দ্রুততম সরীসৃপ হল লেদারব্যাক সি টার্টল। প্রতি ঘণ্টায় এটির গতিবেগ ৩৫ কিলোমিটার। সবচেয়ে বড় প্রজাতির কচ্ছপ। শক্ত খোলসের বদলে নরম ত্বক এটিকে অন্যান্য কচ্ছপের থেকে আলাদা করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীতে টিকে থাকার মূলমন্ত্রই হল গতিশীলতা। যে যত বেশি গতিশীল সে তত বেশি এগিয়ে। আর টিকে থাকতে গেলে প্রাণীদের শিকার করতেই হবে। আর শিকার ধরতে এবং শিকারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে দরকার গতি। সম্প্রতি দ্রুতগতির প্রাণীর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই সব প্রাণীদের কাহিনি তুলে ধরা হল।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী চিতা। ঘণ্টায় ৯৪ কিলোমিটার গতিতে দৌড়তে পারে চিতা। আফ্রিকার বিস্তৃত তৃণভূমিতে হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী শিকারের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি এবং তীব্র গতি এই প্রাণীকে অপ্রতিরোধ্য ও ভয়ঙ্কর শক্তিতে পরিণত করেছে।

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

এরপর নাম নিতে হয় অস্ট্রেলিয়ান টাইগার বিটলের (গুবরে পোকা)। লম্বায় ২০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার। পোকাটি প্রতি সেকেন্ডে তার শরীরের দৈর্ঘ্যের ১২৫ গুণের সমান গতিতে চলতে পারে। যা আশ্চর্যজনক।

আরও পড়ুন: ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত ‘ডায়ার উলফ’ ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা

আরও পড়ুন: বিড়ালের বিশ্বজয়, লম্বা লেজের জন্য গিনেসে নাম উঠল পাগস্লের

আরও পড়ুন: নিউ টাউনে পশু হাসপাতাল গড়বে রাজ্য

পুরুষ ঘোড়া মাছি (হর্সফ্লাই) পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম উড়ন্ত পতঙ্গ। প্রতি ঘণ্টায় গতি আনুমানিক ১৪৫ কিলোমিটার। পেটে রঙিন কমলা রঙের চিহ্নের কারণে এই মাছিকে খুব সহজেই অন্যান্য মাছি থেকে আলাদা করা হয়। মেরু অঞ্চল ছাড়া সারা বিশ্বে এদের দেখা যায়।

ধলাগলা সুইবাতাসি নামের পাখিটি উড়ন্ত অবস্থায় সবচেয়ে দ্রুততম গতির পাখি। যদিও বিষয়টি কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করা হয়নি। এটি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম। এ তথ্য প্রমাণিত হলে, এটি হবে সোনালি ইগলের চেয়েও দ্রুতগতির পাখি।  পরিযায়ী পাখি হওয়ায় লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।

হেঁটে সবচেয়ে দ্রুত পথ অতিক্রম করতে পারে উটপাখি। এটির গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। লম্বা পা ফেলে এবং শক্তিশালী পেশি ব্যবহার করে অত্যন্ত দ্রুততম গতিতে দৌড়তে পারে। উটপাখির পায়ের পেশি এতটাই শক্তিশালী যে লাথি মেরে একটি সিংহকে মেরে ফেলতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম গতির সাঁতার কাটা মাছ ব্ল্যাক মার্লিন।সর্বোচ্চ গতিবেগ আনুমানিক ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার। ব্ল্যাক মার্লিন হল শিকারি মাছ। তীক্ষ্ণ ঠোঁট ও চিত্তাকর্ষক সহনশীলতার কারণে এদের ধরা খুবই কঠিন। এই মাছ ধরার সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা হল গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। যদিও ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের মতো অনেক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেও এটি পাওয়া যায়।

প্রংহর্ন বিরতি না নিয়ে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার গতিতে দৌড়তে পারে।সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮৬ কিলোমিটার। যা বেশির ভাগ শিকারির চোখকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। এই গতি প্রাণীটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণীতেও পরিণত করে।

কাঁটাযুক্ত লেজের ইগুয়ানা হল স্থলের সবচেয়ে দ্রুততম গতির গিরগিটি। প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ ৩৪.৬ কিলোমিটার। শিকারিদের হাত থেকে বাঁচতে তারা অল্প সময়ে এই গতিতে দৌড়তে পারে।

জলে সবচেয়ে দ্রুততম সরীসৃপ হল লেদারব্যাক সি টার্টল। প্রতি ঘণ্টায় এটির গতিবেগ ৩৫ কিলোমিটার। সবচেয়ে বড় প্রজাতির কচ্ছপ। শক্ত খোলসের বদলে নরম ত্বক এটিকে অন্যান্য কচ্ছপের থেকে আলাদা করেছে।