আড়াই মাস কেটে গেলেও রাজ্যের সিইও নিয়োগ হয়নি, বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের

- আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 135
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গত কয়েকদিন ধরেই ‘ভুয়ো ভোটার’ ইস্যুতে তোলপাড় হয়েছে রাজনীতি। রাজ্যের শাসকদলের জনপ্রতিনিধি থেকে নেতা-কর্মীরাও ‘ভূতুড়ে ভোটার’ খুঁজতে একেবারে বুথ লেভেল পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিজেপিকে চাপে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি মেনে নিয়েছে খোদ জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ওই ইস্যুতে কার্যত চাপের মুখে বিজেপি। এই আবহে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(সিইও)পদ থেকে অবসর নিয়েছেন আরিজ আফতাব। রাজ্যের মুখ্য মির্বাচণী আধিকারিকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তারপরও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে কোনো নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদে নিয়োগ না হওয়ায় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘মোদী সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সংস্থাও বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাই দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটারের নাম ঢুকিয়ে ওরা ভোটে জিতেছে।’
রাজ্যে সিইও নিয়োগ এখনও পর্যন্ত না হওয়ায় বিজেপির চক্রান্ত বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদের জন্য এখনও পর্যন্ত দু’বার নবান্ন থেকে তালিকা গিয়েছে। কিন্তু ওই দু’বারই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নামের তালিকা বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বঙ্গ–বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের তালিকায় বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।