০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারপতির বাসভবন থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার এফআইআর রুজুর আবেদন গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টে

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 81

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবন থেকে ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। সেই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে এফআইআর রুজুর আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এফআইআর দায়েরের আবেদন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে অসমে গ্রেফতার সাংবাদিক, একাধিক ধারায় মামালা পুলিশের

সম্প্রতি বিচারপতি বর্মার বাসভবনে আগুন নেভানোর সময় দমকলকর্মীরা বিপুল পরিমাণে পোড়া, আধপোড়া টাকা উদ্ধর করে। ঘটনার তদন্তের জন্য তিন হাইকোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার তেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম। এরপর বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ম্যাথিউজ নেদুমপারা। ১৯৯১ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছিল, “শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা যাবে না।” রায়ের ওই অংশটিকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন মামলাকারী। বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু না করে তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশকেও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি এদিন আবেদনকারী এবং আইজীবীর উদ্দেশে বলেন, “আপনার বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেবেন না।” প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য কোনও তারিখ না দিলেও আগামী দুই দিন অথবা আগামী সপ্তাহ থেকে মামলাটি তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোনও ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত করত। বিচারকদের জন্য এর অন্যথা হবে কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মামলায়।  যদিও গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিচাপতি বর্মা। অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিচারপতির বাসভবন থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার এফআইআর রুজুর আবেদন গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টে

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবন থেকে ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। সেই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে এফআইআর রুজুর আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এফআইআর দায়েরের আবেদন শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে অসমে গ্রেফতার সাংবাদিক, একাধিক ধারায় মামালা পুলিশের

সম্প্রতি বিচারপতি বর্মার বাসভবনে আগুন নেভানোর সময় দমকলকর্মীরা বিপুল পরিমাণে পোড়া, আধপোড়া টাকা উদ্ধর করে। ঘটনার তদন্তের জন্য তিন হাইকোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার তেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম। এরপর বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ম্যাথিউজ নেদুমপারা। ১৯৯১ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছিল, “শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা যাবে না।” রায়ের ওই অংশটিকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন মামলাকারী। বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু না করে তিন সদস্যের একটি অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশকেও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি এদিন আবেদনকারী এবং আইজীবীর উদ্দেশে বলেন, “আপনার বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেবেন না।” প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য কোনও তারিখ না দিলেও আগামী দুই দিন অথবা আগামী সপ্তাহ থেকে মামলাটি তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোনও ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত করত। বিচারকদের জন্য এর অন্যথা হবে কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মামলায়।  যদিও গোটা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিচাপতি বর্মা। অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।