কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ, ইইওসির তদন্তের মুখে টিসিএস

- আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
- / 132
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মার্কিন কর্মীদের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগে তদন্তের মুখে ভারতের বৃহত্তম আইটি পরিষেবা সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস)। আমেরিকার ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন (ইইওসি)টিসিএস-এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন আমেরিকান কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রয়োগের দায়িত্বে কাজ করে সরকারি সংস্থাটি। এই তদন্তের বিষয়ে মন্তব্য করেনি ইইওসি। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিসিএসের প্রাক্তন কর্মচারীরা দাবি করেছেন, যে ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ছাঁটাইয়ের সময় তাদের অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। অভিযোগকারীদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত। তারা প্রত্যেকেই ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে।
যদিও টিসিএস-এর তরফে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, “টিসিএসের বিরুদ্ধে বেআইনি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মীদের সমান সুযোগ দেওয়ার শক্তিশালী ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে টিসিএসের। আমরা সর্বোচ্চ স্তরের সততা এবং মূল্যবোধকে ধরে রাখে।”
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিলের একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিনিধি সেথ মৌল্টন। ইইওসিকে অভিযোগ জানিয়ে এবিষয়ে তদন্তের দাবি করেছিলেন তিনি। মৌল্টন বলেন, “টিসিএসের পদক্ষেপগুলি আমেরিকানদের সঙ্গে বৈষম্য করেছে। এই বিষয়টি ইইওসির তদন্তের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও মার্কিন শ্রম ঘাটতি পূরণের জন্য ডিজাইন করা মার্কিন ওয়ার্ক ভিসা নীতির অপব্যবহারও করা হয়।” টিসিএসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাজ্যেও। যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে কলকাতার এক টিসিএস কর্মী লিঙ্কডইনে বলেন, “টিসিএস আজকাল সবচেয়ে হাস্যকর সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। তাদের উন্নতি নেই বলে কর্মীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে সংস্থাটি। কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি ও চাকরির সন্তুষ্টি কোনও কিছুই নেই। প্রতিবারই আমরা দেখি সংস্থার বিশাল রাজস্ব আয় হচ্ছে। কিন্তু কর্মী হিসেবে আমরা কিছুই পাই না। যদিও রাজস্ব আয়ের পিছনে আমাদের অবদান থাকে।”