পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রয়াত হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। নিজের বাসভবন, কাসা সান্টা মার্টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার ইস্টার ছিল, পালনও করেছিলেন তিনি, তার পরে সোমবারই প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস, জানিয়েছে ভ্যাটিকান।

২০১৩ সালে বেনেডিক্ট ষষ্ঠদশ পদত্যাগ করার পর রোমান ক্যাথলিক চার্চ, ভ্যাটিকানের পোপ হন ফ্রান্সিস। তিনিই প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ ছিলেন। ১২ বছর পদে ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তবে বিগত কয়েক মাস ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। বহুবার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাঁকে। অবশেষে সোমবার তিনি প্রয়াত হয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের ফলে এবার শুরু হবে নতুন পোপ বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। কিন্তু কে হবেন নতুন পোপ (Pope)? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কীভাবে বাছাই করা হবে নতুন পোপ? ঐতিহ্যবাহী এই পদ্ধতির উপরেই ভরসা রেখেই নতুন পোপ বাছাই করে ভ্যাটিকান। সেই রীতি মেনে এবারও নির্বাচন করা হবে এই পদের যোগ্য উত্তরাধিকারীকে। আস্থার দিক থেকে খ্রিস্টান সমাজ ও চার্চে পোপের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হয়।

আরও পড়ুন: প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস, নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ জানাল ভ্যাটিকান

জানা গিয়েছে, একজন পোপের মৃত্যুর পর নতুন পোপ (Pope) নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে কলেজ অফ কার্ডিনালস। পোপের মৃত্যুর প্রায় ১৫-২০ দিন পর তাদের পরবর্তী পোপ নির্বাচনের জন্য পোপের সম্মেলন শুরু হয়। ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা এই গোপন প্রক্রিয়ার জন্য ভ্যাটিকানে জড়ো হন। তারা সিস্টিন চ্যাপেলের ভেতরে আটকে থাকেন এবং বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন। এই সময়কালে তাদের কার্যত মিডিয়া বা ফোনের সাথে কোনো যোগাযোগ থাকে না।

এরপর একাধিক রাউন্ডে ভোট হয়। যতক্ষণ না একজন প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান এবং প্রতিটি ভোটের পর ব্যালট পুড়িয়ে ফেলা হয়। একটি কালো ধোঁয়া ইঙ্গিত দেয় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে সাদা ধোঁয়া ইঙ্গিত দেয় যে একজন নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন পোপ (Pope) নির্বাচিত হওয়ার পর, তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন কিনা। যদি তিনি সম্মত হন, তাহলে তাকে অবশ্যই একটি পোপের নাম নির্বাচন করতে হবে, যা প্রায়শই অতীতের কোনো সাধুর নাম থেকে অনুপ্রাণিত।  তারপর  নতুন পোপ সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে তার অনুসারীদের অভ্যর্থনা জানান এবং পোপ হিসেবে তার প্রথম আশীর্বাদ প্রদান করেন।