১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যাকটাস খেয়ে বাঁচছে ওরা!

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 15

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে খাদ্য সংকট। এর ফলে বর্তমানে বিশ্বের ৪৩টি দেশ এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপি এই ভয়াবহ রিপোর্ট প্রকাশ করে জানায়, দেশগুলিতে তীব্র অভাব ও ক্ষুধাকষ্টে ভুগতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৪ কোটিতে।

ক্যাকটাস খেয়ে বাঁচছে ওরা!

বছরের শুরুর দিকে এ সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ২০ লক্ষ। নতুন করে আফগানিস্তানে আরও ৩০ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে। ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি বলছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এক অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে সংঘাত– জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯’এর কারণে তীব্র ক্ষুধার্তদের সংখ্যা বেড়েছে। আফগানিস্তান সফরের পর তিনি বলেন, ডব্লিউএফপি ২ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন: অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে হাইতির লক্ষাধিক শিশু

আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়েছে, স্বভাবতই নতুন সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।

আরও পড়ুন: কেনিয়ার জঙ্গলে উদ্ধার ৪৭ মরদেহ

আফগানিস্তানেও এখন ইয়েমেন ও সিরিয়ার মতো দীর্ঘস্থায়ী জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হতে চলেছে। ডব্লিউএফপির মতে, বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ এড়াতে এখন প্রয়োজন ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার, যা বছরের শুরুতে ছিল ৬.৬ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। বলা হচ্ছে, তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন পরিবারগুলোর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। আর্থিক অনটনের জেরে পরিবারগুলোতে শিশুদের বিয়ে হচ্ছে ও তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর খানা তো দূর কি বাত– বহু দেশের শিশুদেরই এখন দুপুর ও রাতের খাবার বুনো পাতা বা ক্যাক্টাস। এ খেয়েই কোনও রকমে প্রাণটুকু বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। বর্তমানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক।

আরও পড়ুন: কেনিয়ায় মহিলাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বোরকা পরে ছদ্মবেশে পুরুষ দাবাড়ু

দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামার ফলে দরিদ্র আফগানরা তাদের সন্তানদের বিক্রি করে বেঁচে থাকার মরিয়া প্রচেষ্টা করছে। একাধিক খরা দেশটিকে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ দিকে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ জানে না তাদের ভবিষ্যতের খাবার কোথা থেকে আসবে।

ডব্লিউএফপি বলছে– ইথিওপিয়া– হাইতি– সোমালিয়া– অ্যাঙ্গোলা– কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্যাকটাস খেয়ে বাঁচছে ওরা!

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে খাদ্য সংকট। এর ফলে বর্তমানে বিশ্বের ৪৩টি দেশ এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপি এই ভয়াবহ রিপোর্ট প্রকাশ করে জানায়, দেশগুলিতে তীব্র অভাব ও ক্ষুধাকষ্টে ভুগতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৪ কোটিতে।

ক্যাকটাস খেয়ে বাঁচছে ওরা!

বছরের শুরুর দিকে এ সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ২০ লক্ষ। নতুন করে আফগানিস্তানে আরও ৩০ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছে। ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি বলছেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ এক অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে সংঘাত– জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯’এর কারণে তীব্র ক্ষুধার্তদের সংখ্যা বেড়েছে। আফগানিস্তান সফরের পর তিনি বলেন, ডব্লিউএফপি ২ কোটি ৩০ লক্ষ লোকের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন: অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে হাইতির লক্ষাধিক শিশু

আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়েছে, স্বভাবতই নতুন সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।

আরও পড়ুন: কেনিয়ার জঙ্গলে উদ্ধার ৪৭ মরদেহ

আফগানিস্তানেও এখন ইয়েমেন ও সিরিয়ার মতো দীর্ঘস্থায়ী জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হতে চলেছে। ডব্লিউএফপির মতে, বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ এড়াতে এখন প্রয়োজন ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার, যা বছরের শুরুতে ছিল ৬.৬ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। বলা হচ্ছে, তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন পরিবারগুলোর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। আর্থিক অনটনের জেরে পরিবারগুলোতে শিশুদের বিয়ে হচ্ছে ও তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর খানা তো দূর কি বাত– বহু দেশের শিশুদেরই এখন দুপুর ও রাতের খাবার বুনো পাতা বা ক্যাক্টাস। এ খেয়েই কোনও রকমে প্রাণটুকু বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। বর্তমানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক।

আরও পড়ুন: কেনিয়ায় মহিলাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বোরকা পরে ছদ্মবেশে পুরুষ দাবাড়ু

দেশটির অর্থনীতিতে ধস নামার ফলে দরিদ্র আফগানরা তাদের সন্তানদের বিক্রি করে বেঁচে থাকার মরিয়া প্রচেষ্টা করছে। একাধিক খরা দেশটিকে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ দিকে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ জানে না তাদের ভবিষ্যতের খাবার কোথা থেকে আসবে।

ডব্লিউএফপি বলছে– ইথিওপিয়া– হাইতি– সোমালিয়া– অ্যাঙ্গোলা– কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।