১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলকাতার বুকে কি ট্রাম আর চলবে? মামলা গেল শীর্ষ আদালতে

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 0

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতায় ট্রামের ভবিষ্যৎ মামলা প্রশ্নের মুখে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের মামলার ফলে আপাতত হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি। ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং সে-বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য।
আদালতের নির্দেশের পর বৈঠকের অংশ আদালতে তুলে ধরে রাজ্য। ট্রামের ক্ষেত্রে পিপিপি মডেল থাকা সম্ভব বলে জানানো হলেও এ বিষয় খরচের বিষয়টি সামনে আনে রাজ্য।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, রাজ্য ছাড়া ট্রাম পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। ফান্ড অনুমোদন না করলে পিপিপি মডেল করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পাবলিক নোটিশ জারি করে ট্রামে পিপিপি মডেল চালু করা যায় বলে পরামর্শ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
রাজ্য জানায়, শুধু ট্রাম নয়, বাসের ক্ষেত্রেও তারা পিপিপি মডেল চালু করতে চেয়েছিলেন। যদিও ভাড়া না বাড়ানোয় অভিজ্ঞতা ভয়ংকর। প্রধান বিচারপতি ভাড়ার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন। তবে কলকাতায় ট্যুরিস্ট এলাকাগুলিতে প্রাথমিকভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতির।যেহেতু এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন, তাই সেখানে নিষ্পত্তি না হলে এই মামলা শোনা হবে না বলে স্পষ্ট করেন তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতার বুকে কি ট্রাম আর চলবে? মামলা গেল শীর্ষ আদালতে

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতায় ট্রামের ভবিষ্যৎ মামলা প্রশ্নের মুখে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে রাজ্যের মামলার ফলে আপাতত হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি। ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং সে-বিষয়ে ছবি-সহ রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য।
আদালতের নির্দেশের পর বৈঠকের অংশ আদালতে তুলে ধরে রাজ্য। ট্রামের ক্ষেত্রে পিপিপি মডেল থাকা সম্ভব বলে জানানো হলেও এ বিষয় খরচের বিষয়টি সামনে আনে রাজ্য।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, রাজ্য ছাড়া ট্রাম পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। ফান্ড অনুমোদন না করলে পিপিপি মডেল করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পাবলিক নোটিশ জারি করে ট্রামে পিপিপি মডেল চালু করা যায় বলে পরামর্শ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
রাজ্য জানায়, শুধু ট্রাম নয়, বাসের ক্ষেত্রেও তারা পিপিপি মডেল চালু করতে চেয়েছিলেন। যদিও ভাড়া না বাড়ানোয় অভিজ্ঞতা ভয়ংকর। প্রধান বিচারপতি ভাড়ার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন। তবে কলকাতায় ট্যুরিস্ট এলাকাগুলিতে প্রাথমিকভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতির।যেহেতু এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন, তাই সেখানে নিষ্পত্তি না হলে এই মামলা শোনা হবে না বলে স্পষ্ট করেন তিনি।