২৩ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করছেন ট্রাম্প

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 222

ওয়াশিংটন : প্রেসিডেন্ট হয়েই মেক্সিকোর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ ট্রাম্পের। অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাশাপাশি অভিবাসীদের নির্বাসনের জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ঘাঁটিগুলোকে ‘আশ্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ১ হাজার ৫০০ সেনা দক্ষিণ সীমান্তে মোতায়েনের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই সেনাদের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে মোতায়েন হবে। সীমান্তে এরই মধ্যে ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছেন।
তবে সিবিএস নিউজের পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, সীমান্তে সহায়তার জন্য ১০ হাজার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের (সিবিপি) ওই নথিটি ২১ জানুয়ারির, ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার একদিন পরের। নথি থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। পাশাপাশি অভিবাসন ও কাস্টমস ফরেক্সট্রাকশনের (আইসিই) ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। আইসিই কর্মকর্তারা ১৪টি নতুন আটক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। প্রতি কেন্দ্রে ১ হাজার করে অভিবাসীকে রাখা যাবে। এছাড়া ১০ হাজার মানুষ ধারণক্ষমতার আরও চারটি কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাস সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করা হবে। এই সেনাদের মধ্যে ১ হাজার সেনা এবং ৫০০ মেরিন সেনা থাকবে। সেখানে হেলিকপ্টারও পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ফেডারেল আইন সাধারণত বেসামরিক আইনপ্রয়োগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। তাই এ সেনারা আইন প্রয়োগ করতে পারবেন না। তাঁদের মূল দায়িত্ব থাকবে সিবিপিকে সহায়তা করা এবং সীমান্তে বাধা নির্মাণে সহায়তা করা, যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ কমানো যায়।

ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল অভিবাসনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম কার্যদিবসেই এই বিষয়ে নির্বাহী আদেশ দেবেন বলেছিলেন তিনি। শপথের দিনই এক নির্বাহী আদেশে দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি সীমান্তে সেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করছেন ট্রাম্প

আপডেট : ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার

ওয়াশিংটন : প্রেসিডেন্ট হয়েই মেক্সিকোর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ ট্রাম্পের। অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাশাপাশি অভিবাসীদের নির্বাসনের জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ঘাঁটিগুলোকে ‘আশ্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ১ হাজার ৫০০ সেনা দক্ষিণ সীমান্তে মোতায়েনের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই সেনাদের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে মোতায়েন হবে। সীমান্তে এরই মধ্যে ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছেন।
তবে সিবিএস নিউজের পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, সীমান্তে সহায়তার জন্য ১০ হাজার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের (সিবিপি) ওই নথিটি ২১ জানুয়ারির, ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার একদিন পরের। নথি থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করা হতে পারে। পাশাপাশি অভিবাসন ও কাস্টমস ফরেক্সট্রাকশনের (আইসিই) ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। আইসিই কর্মকর্তারা ১৪টি নতুন আটক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। প্রতি কেন্দ্রে ১ হাজার করে অভিবাসীকে রাখা যাবে। এছাড়া ১০ হাজার মানুষ ধারণক্ষমতার আরও চারটি কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাস সীমান্তে ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করা হবে। এই সেনাদের মধ্যে ১ হাজার সেনা এবং ৫০০ মেরিন সেনা থাকবে। সেখানে হেলিকপ্টারও পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ফেডারেল আইন সাধারণত বেসামরিক আইনপ্রয়োগের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। তাই এ সেনারা আইন প্রয়োগ করতে পারবেন না। তাঁদের মূল দায়িত্ব থাকবে সিবিপিকে সহায়তা করা এবং সীমান্তে বাধা নির্মাণে সহায়তা করা, যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ কমানো যায়।

ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল অভিবাসনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম কার্যদিবসেই এই বিষয়ে নির্বাহী আদেশ দেবেন বলেছিলেন তিনি। শপথের দিনই এক নির্বাহী আদেশে দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি সীমান্তে সেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দেন।