২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওডিশার সরকারি স্কুলে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যু, নেপথ্যে অব্যবস্থা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার
  • / 9

ভুবনেশ্বর, ৯ মার্চ: ওডিশায় সরকারি (Government Of Odisha) স্কুলে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যু। বলছে খোদ সরকারি রিপোর্ট। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্য জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ওড়িশা সরকারের এসটি এবং এসসি উন্নয়ন বিভাগ পরিচালিত আবাসিক স্কুলগুলিতে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে পড়ুয়াদের মৃত্যু হয়েছে! সে বিষয়ে মুখ খোলেনি বিজেপি শাসিত ওডিশা সরকার (Government Of Odisha)। তবে স্কুলগুলির অব্যবস্থাকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা।

দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ আদিবাসী অধ্যষিত রাজ্য ওড়িশা (Odisha)। দেশের উপজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃহত্তম আবাসিক বিদ্যালয়ের সুবিধা রয়েছে রাজ্যটিতে। এসটি এবং এসসি উন্নয়ন বিভাগ পরিচালিত আবাসিক স্কুলগুলিতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে এত সংখ্যক পড়ুয়া মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন কংগ্রেস বিধায়ক রামচন্দ্র কদম। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অব্যবস্থার কারণে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এক সংবাদমাধ্যম অব্যবস্থার ১০টি ঘটনার তদন্ত করে এক রিপোর্টও প্রকাশ করে। তাতেও রাজ্যের ভাবমূর্তি বেআব্রু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এসটি ও এসসি উন্নয়ন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত আবাসিক বিদ্যালয় সংখ্যা ১,৭৪৬টি। এর মধ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এসটি ও এসসি উন্নয়ন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয় প্রায় ৬,৭০০ হোস্টেল। এই হোস্টেলগুলিতে ৫.৭ লক্ষ পড়ুয়া থাকে। অধিকাংশ হোস্টেলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, মান সম্মত খাবার ও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এমনকি পড়ুয়াদের দেখভালের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় হোস্টেলগুলি ধুঁকছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের গত ২৮ জানুয়ারি সুন্দরগড় জেলার বোনাই মহকুমার শিহিদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন পড়ুয়া মাঝরাতে তাদের হোস্টেল ছেড়ে ঘন জঙ্গলে বেরিয়ে পড়ে। ৫-১১ বছর বয়সী পড়ুয়ারা ঘন জঙ্গলের ৫ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। এই ঘটনার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতেই পারেনি ১৫ জন পড়ুয়া অনুপস্থিত রয়েছে। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে পড়ুয়াদের উদ্ধার করে। এমনই একাধিক অব্যবস্থার নজির রয়েছে বলে উল্লেখ্য করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

রিপোর্টার

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওডিশার সরকারি স্কুলে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যু, নেপথ্যে অব্যবস্থা

আপডেট : ৯ মার্চ ২০২৫, রবিবার

ভুবনেশ্বর, ৯ মার্চ: ওডিশায় সরকারি (Government Of Odisha) স্কুলে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যু। বলছে খোদ সরকারি রিপোর্ট। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্য জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ওড়িশা সরকারের এসটি এবং এসসি উন্নয়ন বিভাগ পরিচালিত আবাসিক স্কুলগুলিতে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে পড়ুয়াদের মৃত্যু হয়েছে! সে বিষয়ে মুখ খোলেনি বিজেপি শাসিত ওডিশা সরকার (Government Of Odisha)। তবে স্কুলগুলির অব্যবস্থাকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা।

দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ আদিবাসী অধ্যষিত রাজ্য ওড়িশা (Odisha)। দেশের উপজাতি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃহত্তম আবাসিক বিদ্যালয়ের সুবিধা রয়েছে রাজ্যটিতে। এসটি এবং এসসি উন্নয়ন বিভাগ পরিচালিত আবাসিক স্কুলগুলিতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে এত সংখ্যক পড়ুয়া মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন কংগ্রেস বিধায়ক রামচন্দ্র কদম। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অব্যবস্থার কারণে ছাব্বিশ পড়ুয়ার মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এক সংবাদমাধ্যম অব্যবস্থার ১০টি ঘটনার তদন্ত করে এক রিপোর্টও প্রকাশ করে। তাতেও রাজ্যের ভাবমূর্তি বেআব্রু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এসটি ও এসসি উন্নয়ন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত আবাসিক বিদ্যালয় সংখ্যা ১,৭৪৬টি। এর মধ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এসটি ও এসসি উন্নয়ন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয় প্রায় ৬,৭০০ হোস্টেল। এই হোস্টেলগুলিতে ৫.৭ লক্ষ পড়ুয়া থাকে। অধিকাংশ হোস্টেলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, মান সম্মত খাবার ও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এমনকি পড়ুয়াদের দেখভালের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় হোস্টেলগুলি ধুঁকছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের গত ২৮ জানুয়ারি সুন্দরগড় জেলার বোনাই মহকুমার শিহিদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন পড়ুয়া মাঝরাতে তাদের হোস্টেল ছেড়ে ঘন জঙ্গলে বেরিয়ে পড়ে। ৫-১১ বছর বয়সী পড়ুয়ারা ঘন জঙ্গলের ৫ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। এই ঘটনার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতেই পারেনি ১৫ জন পড়ুয়া অনুপস্থিত রয়েছে। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে পড়ুয়াদের উদ্ধার করে। এমনই একাধিক অব্যবস্থার নজির রয়েছে বলে উল্লেখ্য করেছে সংবাদমাধ্যমটি।