২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছত্তীশগড়ে চুরির অভিযোগে দুই শ্রমিককে মারধর, নখ উপড়ে, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অত্যাচার

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 161

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছত্তীশগড়ে চুরির সন্দেহে দুই শ্রমিককে মারধর। নখ উপড়ে ফেলা হয় শ্রমিকদের। বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, কোরবা জেলার আইসক্রিম কারখানার মালিক এবং তার সহযোগী দুই শ্রমিককে মারধর করে।

দুই শ্রমিকের নাম অভিষেক ভাম্বি এবং বিনোদ ভাম্বি। তাঁরা রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা। সিভিল লাইনস থানা এলাকার খাপ্রভাট্টি আইসক্রিম কারখানায় কাজ করতেন ওই দুই শ্রমিক। কারখানার মালিক হলেন ছোটু গুর্জার। পুলিশ সূত্রে খবর, এক ঠিকাদার দুই শ্রমিককে ওই কারখানায় নিয়োগ করে। ১৪ এপ্রিল কারখানার মালিক গুর্জর এবং তার সহযোগী মুকেশ শর্মা দুই শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।  দু’জনকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, বৈদ্যুতিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে খবর। নখও উপরে ফেলা হয়। শ্রমিকদের মারধরের ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। যার সত্যতা পুবের কলম যাচাই করেনি। ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, একজন অর্ধ নগ্ন ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর সেখান থেকে শ্রমিকরা কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়। রাজস্থানের নিজেদের গ্রাম ভিলওয়ারায় পৌঁছয়। তারপর গুলাবপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

রাজস্থান পুলিশ ‘শূন্য’ এফআইআর নথিভূক্ত করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মামলাটি কোরবা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।জিরো এফআইআরের অধীনে, অপরাধের স্থান নির্বিশেষে অভিযোগকারীরা যে কোনও থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। শুক্রবার কারখানার মালিক এবং সহযোগীর বিরুদ্ধে কোরবার সিভিল লাইনস থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিত শ্রমিক অভিষেক ভাম্ভী জানিয়েছেন, তিনি মালিকের কাছ থেকে গাড়ির ইনস্টলেশনের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। মালিক তা দিতে অস্বীকার করে। এরপর অভিষেক চাকরি ছেড়ে দিতে চায়। তারপরই মিথ্যা অভিযোগে তাদের মারধর করা হয় বলে খবর। ঘটনায়  এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার যায়নি বলে জানিয়েছে সিভিল লাইলস থানার অফিসার প্রমোদ দাদসেনা। তবে তদন্ত চলছে।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ছত্তীশগড়ে চুরির অভিযোগে দুই শ্রমিককে মারধর, নখ উপড়ে, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে অত্যাচার

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ছত্তীশগড়ে চুরির সন্দেহে দুই শ্রমিককে মারধর। নখ উপড়ে ফেলা হয় শ্রমিকদের। বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, কোরবা জেলার আইসক্রিম কারখানার মালিক এবং তার সহযোগী দুই শ্রমিককে মারধর করে।

দুই শ্রমিকের নাম অভিষেক ভাম্বি এবং বিনোদ ভাম্বি। তাঁরা রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা। সিভিল লাইনস থানা এলাকার খাপ্রভাট্টি আইসক্রিম কারখানায় কাজ করতেন ওই দুই শ্রমিক। কারখানার মালিক হলেন ছোটু গুর্জার। পুলিশ সূত্রে খবর, এক ঠিকাদার দুই শ্রমিককে ওই কারখানায় নিয়োগ করে। ১৪ এপ্রিল কারখানার মালিক গুর্জর এবং তার সহযোগী মুকেশ শর্মা দুই শ্রমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।  দু’জনকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, বৈদ্যুতিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে খবর। নখও উপরে ফেলা হয়। শ্রমিকদের মারধরের ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। যার সত্যতা পুবের কলম যাচাই করেনি। ভিডিয়ো ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, একজন অর্ধ নগ্ন ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর সেখান থেকে শ্রমিকরা কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায়। রাজস্থানের নিজেদের গ্রাম ভিলওয়ারায় পৌঁছয়। তারপর গুলাবপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

রাজস্থান পুলিশ ‘শূন্য’ এফআইআর নথিভূক্ত করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য মামলাটি কোরবা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।জিরো এফআইআরের অধীনে, অপরাধের স্থান নির্বিশেষে অভিযোগকারীরা যে কোনও থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। শুক্রবার কারখানার মালিক এবং সহযোগীর বিরুদ্ধে কোরবার সিভিল লাইনস থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিত শ্রমিক অভিষেক ভাম্ভী জানিয়েছেন, তিনি মালিকের কাছ থেকে গাড়ির ইনস্টলেশনের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। মালিক তা দিতে অস্বীকার করে। এরপর অভিষেক চাকরি ছেড়ে দিতে চায়। তারপরই মিথ্যা অভিযোগে তাদের মারধর করা হয় বলে খবর। ঘটনায়  এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার যায়নি বলে জানিয়েছে সিভিল লাইলস থানার অফিসার প্রমোদ দাদসেনা। তবে তদন্ত চলছে।