ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন প্রত্যাখ্যান করছি: সউদি আরব

- আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 25

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122
রিয়াধ: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে মিসরের দেওয়া এ পরিকল্পনা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ কথা জানিয়েছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা পুনর্গঠনে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হবে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার প্রয়োজন হবে না। এই পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে গাজাকে পুনর্গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় থাকা অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ অপসারণ ও প্রায় পাঁচ কোটি টন ধ্বংসাবশেষ সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আরব দেশগুলোর পরিকল্পনা অনুসারে, গাজায় আধুনিক শপিং মল, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র এবং পাঁচ বছরের মধ্যে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে উপকূলবর্তী অঞ্চলে রিসোর্ট গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু গাজা কে শাসন করবে? এই প্রশ্নের উত্তরে সিসি বলেন, হামাসকে অন্তর্র্বর্তী প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সংস্কারকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারে। পরে এই পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি। তিনি জানান, ছ’মাসের জন্য গাজার প্রশাসন পরিচালনায় গঠিত এ কমিটির প্রধান যিনি হবেন, তাঁকে মনোনীত করা হয়েছে। তবে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গাজা নিয়ে মিশরের পরিকল্পনা আরব দেশগুলো পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে বলে জানান আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে মিশরের দেওয়া প্রস্তাবটি সম্মেলনে অনুমোদন পাওয়ায় এখন এটি আরব পরিকল্পনায় পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে, কায়রোতে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিরুদ্ধে কথা বলেন প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার জন্য আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছি। সউদি আরব দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে।’
শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত চূড়ান্ত বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ´ান জানানো হয়। সেইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ এবং ত্রাণকাজে ব্যবহৃত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ইসরাইলি প্রচেষ্টার নিন্দা করা হয়।