২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Waqf Law বাতিলের দাবিতে রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের ঘোষণা ইউজিসি-র

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 118

 সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা  

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর (Waqf Law) বিরুদ্ধে পথে নামল ইউনাইটেড গার্জেন কাউন্সিল (ইউ.জি.সি)। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন দেশের সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক অধিকার এবং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর পরিপন্থি। ইতিমধ্যেই ওই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে  চ্যালেঞ্জ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ বিষয়ে ইউনাইটেড গার্জেন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক পাশারুল আলম এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই আইন মুসলিমদের অধিকার ও সম্পত্তির নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এটি এক ধরনের কালা আইন, যা সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টা।” ওয়াকফ সংশোধিত আইন (Waqf Law) কার্যকর হলে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির ক্ষমতা খর্ব হবে এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির যথাযথ রক্ষা করা দুরূহ হয়ে উঠবে বলেও তিনি জানান।  আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে পাশারুল আলম আরও বলেন, ‘এই আন্দোলন কোনো সম্প্রদায়বিরোধী নয়। এটি একান্তই সংবিধান রক্ষার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ।’ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অবস্থান বিক্ষোভ এবং কলকাতায় এক কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি ডঃ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পথে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। এই আন্দোলন শুধু মুসলিম সমাজের জন্য নয়—সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ ও বঞ্চিত শ্রেণির পক্ষে। আমরা দলিত, আদিবাসী এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একজোট হয়ে বৃহত্তর গণআন্দোলনের ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই।’ আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিল কলকাতায় এক ‘চিন্তন শিবির’-এ আইনজীবী, সমাজকর্মী ও আন্দোলনকর্মীরা কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করবেন বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Waqf Law বাতিল করা হোক, আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল পিআইবি

আরও পড়ুন: ওয়াকফ কবজা করতে চায় সরকার, আইন বাতিলের দাবিতে জোরালো সওয়াল সুপ্রিম কোর্টে

উল্লেখ্য, আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন ২০২৫-এ (Waqf Law)  কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে এবং রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন খর্ব হয়েছে। সংবিধান বিশারদদের একাংশের মত, এই আইন ধর্মীয় স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। মানবাধিকার কর্মীরাও একমত যে, এই ধরনের আইন শুধু সংখ্যালঘুদের অধিকারেই হস্তক্ষেপ করে না, বরং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেও আঘাত করে। এই প্রেক্ষিতে ইউনাইটেড গার্জেন কাউন্সিলের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আইনি ও সামাজিক প্রতিরোধ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: Waqf Law: পরবর্তী শুনানি ৫ মে

আরও পড়ুন: BREAKING: Waqf Law, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে নিয়োগ নয়

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Waqf Law বাতিলের দাবিতে রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের ঘোষণা ইউজিসি-র

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার

 সুপ্রিম কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা  

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর (Waqf Law) বিরুদ্ধে পথে নামল ইউনাইটেড গার্জেন কাউন্সিল (ইউ.জি.সি)। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন দেশের সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক অধিকার এবং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর পরিপন্থি। ইতিমধ্যেই ওই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে  চ্যালেঞ্জ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ বিষয়ে ইউনাইটেড গার্জেন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক পাশারুল আলম এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই আইন মুসলিমদের অধিকার ও সম্পত্তির নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এটি এক ধরনের কালা আইন, যা সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টা।” ওয়াকফ সংশোধিত আইন (Waqf Law) কার্যকর হলে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির ক্ষমতা খর্ব হবে এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে ওয়াকফ সম্পত্তির যথাযথ রক্ষা করা দুরূহ হয়ে উঠবে বলেও তিনি জানান।  আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে পাশারুল আলম আরও বলেন, ‘এই আন্দোলন কোনো সম্প্রদায়বিরোধী নয়। এটি একান্তই সংবিধান রক্ষার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ।’ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় অবস্থান বিক্ষোভ এবং কলকাতায় এক কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি ডঃ নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ও সাংবিধানিক পথে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। এই আন্দোলন শুধু মুসলিম সমাজের জন্য নয়—সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ ও বঞ্চিত শ্রেণির পক্ষে। আমরা দলিত, আদিবাসী এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একজোট হয়ে বৃহত্তর গণআন্দোলনের ভিত্তি গড়ে তুলতে চাই।’ আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিল কলকাতায় এক ‘চিন্তন শিবির’-এ আইনজীবী, সমাজকর্মী ও আন্দোলনকর্মীরা কর্মসূচির ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ করবেন বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: Waqf Law বাতিল করা হোক, আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল পিআইবি

আরও পড়ুন: ওয়াকফ কবজা করতে চায় সরকার, আইন বাতিলের দাবিতে জোরালো সওয়াল সুপ্রিম কোর্টে

উল্লেখ্য, আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন ২০২৫-এ (Waqf Law)  কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সুযোগ অনেকটাই বেড়েছে এবং রাজ্যগুলোর স্বায়ত্তশাসন খর্ব হয়েছে। সংবিধান বিশারদদের একাংশের মত, এই আইন ধর্মীয় স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। মানবাধিকার কর্মীরাও একমত যে, এই ধরনের আইন শুধু সংখ্যালঘুদের অধিকারেই হস্তক্ষেপ করে না, বরং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেও আঘাত করে। এই প্রেক্ষিতে ইউনাইটেড গার্জেন কাউন্সিলের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আইনি ও সামাজিক প্রতিরোধ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: Waqf Law: পরবর্তী শুনানি ৫ মে

আরও পড়ুন: BREAKING: Waqf Law, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে নিয়োগ নয়