১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়মাল্য বাগচী হতে চলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 1

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122

মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করার সুপারিশ করল কলেজিয়াম। যদি শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়, তাহলে ২০৩১ সালে বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবসর গ্রহণের পর তিনিই হতে চলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তবে সেই বছরের মে মাসে দায়িত্ব নিলেও অক্টোবরেই অবসর নেওয়ার কথা তাঁর (বিচারপতি বাগচী)। আরও এক বাঙালি বিচারপতি যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে। কোনও রাজ্যের হাইকোর্টে না গিয়েই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। শুধু তাই নয়, তিনি ২০৩১ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন বলেও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ইতিমধ্যে বিচারপতি বাগচীর নিয়োগে সিলমোহর দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে বিচারপতি হয়েছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। দেশের শীর্ষ আদালতে আরও একজন বাঙালি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

আরও পড়ুন: ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীলতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

আলতামাস কবীর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। প্রধান বিচারপতি হিসাবেই আলতামাস কবীর অবসর নেন ২০১৩ সালে। এরপর থেকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কেউ আর হননি। ২০৩১ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। প্রধান বিচারপতি হিসাবে থাকবেন বিচারপতি বাগচী।কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আইনজ্ঞ হিসাবে কেরিয়ার শুরু। ১৯৯১ সালে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসাবে খ্যাতি পান। দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অসংখ্য ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক আইনের মামলায় আইনজীবী হিসাবে শুনানিতে অংশ নেন তৎকালীন আইনজীবী জয়মাল্য বাগচী। ২০১১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন বিচারপতি বাগচী। মাঝে একেবারে কিছুদিনের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে কাজ বদলি হয়েছিলেন। ফের কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। দীর্ঘ সময় কলকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একাধিক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চে বসেছেন বিচারপতি বাগচী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে, কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

২০১১ সালের ২৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন জয়মাল্য বাগচী। এর পর সাময়িকভাবে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হলেও, ওই বছরের ৮ নভেম্বরের মধ্যেই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। সেই থেকে শুরু করে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আইনের অলিন্দে সুবিচার নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান প্রশংসিত হয়েছে।

কলেজিয়ামের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন জয়মাল্য বাগচি আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অভিজ্ঞতার অধিকারী হয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বা কামদুনি মামলার মতো মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি পদে ছিলেন জয়মাল্য বাগচিই।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আলতামাস কবীর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন। এর পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আর কোনও বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হননি। তারও আগে ১৯৮৯-১৯৯০ সালে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বাঙালি হিসেবে প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তারও আগে অজিত নাথ রায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০৩১-এ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রধান বিচারপতি হলে ফের নয়া ইতিহাস রচনা হবে।

এদিকে এদিন কলেজিয়াম কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনকে ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশও করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জয়মাল্য বাগচী হতে চলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি

আপডেট : ৭ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করার সুপারিশ করল কলেজিয়াম। যদি শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়, তাহলে ২০৩১ সালে বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবসর গ্রহণের পর তিনিই হতে চলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তবে সেই বছরের মে মাসে দায়িত্ব নিলেও অক্টোবরেই অবসর নেওয়ার কথা তাঁর (বিচারপতি বাগচী)। আরও এক বাঙালি বিচারপতি যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে। কোনও রাজ্যের হাইকোর্টে না গিয়েই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। শুধু তাই নয়, তিনি ২০৩১ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন বলেও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ইতিমধ্যে বিচারপতি বাগচীর নিয়োগে সিলমোহর দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে বিচারপতি হয়েছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। দেশের শীর্ষ আদালতে আরও একজন বাঙালি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।

আরও পড়ুন: ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীলতা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

আলতামাস কবীর শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। প্রধান বিচারপতি হিসাবেই আলতামাস কবীর অবসর নেন ২০১৩ সালে। এরপর থেকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কেউ আর হননি। ২০৩১ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। প্রধান বিচারপতি হিসাবে থাকবেন বিচারপতি বাগচী।কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আইনজ্ঞ হিসাবে কেরিয়ার শুরু। ১৯৯১ সালে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসাবে খ্যাতি পান। দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অসংখ্য ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক আইনের মামলায় আইনজীবী হিসাবে শুনানিতে অংশ নেন তৎকালীন আইনজীবী জয়মাল্য বাগচী। ২০১১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন বিচারপতি বাগচী। মাঝে একেবারে কিছুদিনের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে কাজ বদলি হয়েছিলেন। ফের কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। দীর্ঘ সময় কলকাতা হাইকোর্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একাধিক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চে বসেছেন বিচারপতি বাগচী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে, কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

২০১১ সালের ২৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন জয়মাল্য বাগচী। এর পর সাময়িকভাবে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হলেও, ওই বছরের ৮ নভেম্বরের মধ্যেই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। সেই থেকে শুরু করে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আইনের অলিন্দে সুবিচার নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান প্রশংসিত হয়েছে।

কলেজিয়ামের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন হাই কোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন জয়মাল্য বাগচি আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অভিজ্ঞতার অধিকারী হয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বা কামদুনি মামলার মতো মামলায় হাই কোর্টের বিচারপতি পদে ছিলেন জয়মাল্য বাগচিই।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আলতামাস কবীর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন। এর পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আর কোনও বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হননি। তারও আগে ১৯৮৯-১৯৯০ সালে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বাঙালি হিসেবে প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তারও আগে অজিত নাথ রায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০৩১-এ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী প্রধান বিচারপতি হলে ফের নয়া ইতিহাস রচনা হবে।

এদিকে এদিন কলেজিয়াম কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনকে ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশও করেছে।