০২ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলিম সংরক্ষণ বিল নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ, কার্যবিবরণী ছাড়াই মুলতবি রাজ্যসভা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 272

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকে সরকারি কাজের টেন্ডারে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে রইল রাজ্যসভা। সোমবার কার্যবিবরণী ছাড়াই মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভা। স্থগিত করা হয় অধিবেশনও। শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ ভবন।

 

আরও পড়ুন: এক টেবিলে বসে কফি খেলেন Sonia-Derek, কটাক্ষ বিজেপির

এদিন মুসলিম সংরক্ষণ বিল নিয়ে রাজ্যসভা বিরোধিতা করতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বিল এনে কংগ্রেস সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, “বি আর আম্বেদকরের সংবিধান কোনওভাবেই পরিবর্তন করা হবে না।” বিজেপি সাংসদদের স্লোগানের জেরে রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধরখড় দুপুর ২টো পর্যন্ত কার্যধারা মুলতবি করে দেন।

আরও পড়ুন: নৈহাটিতে বরফ কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিকে অসুস্থ একাধিক, আতঙ্কতি এলাকাবাসী

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁকে নিশানা করেন কিরেণ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিমদের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইছে কংগ্রেস। রিজিজু বলেন, “বিবৃতিটি কোনও সাধারণ দলের নেতার কাছ থেকে আসেনি। বরং সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছে। ধর্ম-ভিত্তিক সংরক্ষণ মেনে নেওয়া হবে না।” কংগ্রেস নেতারা পকেটে সংবিধানের বই নিয়ে ঘুরলেও তা দুর্বল করার জন্য সব কিচু করতে পারেন বলে উল্লেখ কিরেণ রিজিজুর।

এদিকে সংসদ নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা বলেন, “কংগ্রেস সংবিধানকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা যাবে না।” এটি ভারতীয় সংবিধানের একটি স্বীকৃত নীতি বলেও এদিন উল্লেখ করেন জে পি নাড্ডা। এরপর রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় কর্নাটকের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার কথা বলেন।

ধনখড়ের বক্তব্যের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আম্বেদকরের দেওয়া সংবিধান কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আমরাই সংবিধান রক্ষাকারী মানুষ। আমরাই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা করেছি।” বিজেপি ভারত তোড়োতে বিশ্বাস করে বলে নিশানা খাড়গের। ভারতীয় সংবিধানের রক্ষক কংগ্রেস এদিন একথাও স্পষ্ট করে দেন কংগ্রেস সভাপতি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুসলিম সংরক্ষণ বিল নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ, কার্যবিবরণী ছাড়াই মুলতবি রাজ্যসভা

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকে সরকারি কাজের টেন্ডারে মুসলিমদের সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে রইল রাজ্যসভা। সোমবার কার্যবিবরণী ছাড়াই মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভা। স্থগিত করা হয় অধিবেশনও। শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ ভবন।

 

আরও পড়ুন: এক টেবিলে বসে কফি খেলেন Sonia-Derek, কটাক্ষ বিজেপির

এদিন মুসলিম সংরক্ষণ বিল নিয়ে রাজ্যসভা বিরোধিতা করতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বিল এনে কংগ্রেস সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে বলেন, “বি আর আম্বেদকরের সংবিধান কোনওভাবেই পরিবর্তন করা হবে না।” বিজেপি সাংসদদের স্লোগানের জেরে রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধরখড় দুপুর ২টো পর্যন্ত কার্যধারা মুলতবি করে দেন।

আরও পড়ুন: নৈহাটিতে বরফ কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিকে অসুস্থ একাধিক, আতঙ্কতি এলাকাবাসী

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁকে নিশানা করেন কিরেণ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিমদের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইছে কংগ্রেস। রিজিজু বলেন, “বিবৃতিটি কোনও সাধারণ দলের নেতার কাছ থেকে আসেনি। বরং সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছে। ধর্ম-ভিত্তিক সংরক্ষণ মেনে নেওয়া হবে না।” কংগ্রেস নেতারা পকেটে সংবিধানের বই নিয়ে ঘুরলেও তা দুর্বল করার জন্য সব কিচু করতে পারেন বলে উল্লেখ কিরেণ রিজিজুর।

এদিকে সংসদ নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা বলেন, “কংগ্রেস সংবিধানকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা যাবে না।” এটি ভারতীয় সংবিধানের একটি স্বীকৃত নীতি বলেও এদিন উল্লেখ করেন জে পি নাড্ডা। এরপর রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় কর্নাটকের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার কথা বলেন।

ধনখড়ের বক্তব্যের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, “আম্বেদকরের দেওয়া সংবিধান কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আমরাই সংবিধান রক্ষাকারী মানুষ। আমরাই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা করেছি।” বিজেপি ভারত তোড়োতে বিশ্বাস করে বলে নিশানা খাড়গের। ভারতীয় সংবিধানের রক্ষক কংগ্রেস এদিন একথাও স্পষ্ট করে দেন কংগ্রেস সভাপতি।